বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার। ড. আতিউর রহমান

ডলারের বিচক্ষণ ব্যবহার অপরিহার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের বিচক্ষণ ব্যবহার অপরিহার্য

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যে কোনো মূল্যেই ডলারের যথেচ্ছ ব্যবহার বা উল্টাপাল্টা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। হাতে ডলার আছে, মন চাইল আর একটা দামী গাড়ি কিনে আনলাম। পরিবারের প্রয়োজন নাই তারপরও জনে জনে গাড়ি কিনলাম। সব ঘরে এসি লাগিয়ে দিলাম। এসব ঠাট বাটের জন্য উল্টা-পাল্টা ডলার ব্যবহারেরথামানোর সময় এসেছে। শুধু গাড়িই নয় সব ধরনের বিলাসী পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের সময় এসেছে। তিনি বলেন, আমদানি পণ্যের বেলায়ও করনীয় আছে-এসব পণ্য নিজ দেশে অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানি-বিকল্প শিল্পের প্রসারকে উৎসাহিত করার এখনও প্রয়োজন রয়েছে।বিশেষ করে দ্রুত বদলে যাওয়া বিশ্ববানিজ্যের এই সংকট কালে কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য।এজন্যে এনবিআর আর বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে বিলাসী পণ্যের মার্জিন দরকার হলে আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। আমি তো মনে করি, এটাকে ৮০ থেকে ১০০ পারসেন্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখনও টাকার ফ্রি ফল (অবাধে পতন) হচ্ছনা। তবে তা যাতে না হয় সে দিকে তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে।যেমন করেই হোক টাকার মূল্যমান স্হিতিশীল রাখতেই হবে। অনেক বছর ধরে তো আমরা তা পেরেছি। এখন কেনো পারবো না? নিশ্চয় টাকার মানের ‘ফ্রি ফল হবে না’। হচ্ছেও না। তবু সাবধানের মার নেই। এক্ষুনিএমন উদ্যোগ নিতে হবে যাতে করে টাকার বিনিময় হার ‘রিএলাইনড’ (পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়া) হয়। উপযুক্ত নীতি-উদ্যোগ নিয়েই সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আর তা করার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে।বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে অনলাইন মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। 
সাবেক এই গভর্নর বলেন, আরেকটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ন, তা হলো মার্কেটে গুজব ছড়ানো যাবে না। এখানে মিডিয়ার ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। গুজব যে কোন বড় অর্জনকে ধংস করে দিতে পারে। ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেবার পথ রুদ্ধ করে দিতে পারে।মানি মার্কেট খুবই স্পর্শকাতর। এখানে গুজব জন্মালে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আমাদের মনে রাখতে হবে ডলারের কার্ব মার্কেট খুবই ছোট, এখানেও ‘সিন্ডিকেট চক্র’ থাকতে পারে। তবে মূল মার্কেট হলো ব্যাংকিং খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট।সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকলেও চলবে না। এই মার্কেটকে যেন কেউই মযানিপুলেট না করতে পারে সেদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়া নজরদারি বজায় রাখতে হবে। সকলক্ষেত্রেই ডলার দিয়ে কি কেনা হচ্ছে, কোন প্রকল্পের কোন ক্ষেত্রে তা ব্যবহার কতোটা হলো- সেই সব ‘এন্ড ইউজ’ নিপুনভাবে মনিটর করে যেতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংক হালে ডলার ব্যবহারে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।এগুলো আমার কাছে খুবই কার্যকর ও সময় উপযোগী মনে হয়েছে।ভোজ্যতেলের মত ডলারের বাজারেও সিন্ডিকেট থাকতে পারে। এই সিন্ডিকেটে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কেউ জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্হা নিতে হবে। এক্সচেন্জ হাউজগুলোর ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখাটা জরুরি। তারা যেন মনগড়া রেটে ডলার কেনাবেচা না করে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চয় তা দেখতে পারে।যদি এসব ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হয়ে থাকে সেটা খুঁজে বের করা জরুরি।  তবে সমস্যার মূলে মূলে যেতে হবে।ডলারের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যে তফাৎটা রয়েছে সেটা আগে মেটাতে হবে।
ডলার সংকটের প্রধান কারণ হিসেবে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর পর সারাবিশ্বে সব ধরনের কর্মকান্ড শুরু হয়েছ্।আমাদের এখানেও অর্থনীতি আড়মোড়া ভেঙ্গে ভালোভাবেই জেগে উঠেছে। দেশের ও বিদেশের বাজারের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে। হঠাৎ করেই সব ধরনের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও বাড়তে শুরু করেছে। কাঁচামালের আমদানিও দ্রুত বাড়ছে। রপ্তানি বাড়লে এসবের আমদানি বাড়বেই। আমদানির ‘পেন্টআপ’ চাহিদা মেটাতে ডলার সরবরাহের ওপর চাপ বেড়ে গেছে। তাছাড়া এখন  চিকিৎসা, পর্যটন ও ব্যবসা সম্পর্কিত নানা কাজে অনেক মানুষ দেশের বাইরে বাইরে  যাচ্ছে। ফলে কার্ব মারকেটেও  ডলারের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণেও বিমান ও জাহাজের ভাড়া বেড়ে গেছে।তাই আমদানি করা পন্যমূল্য বেড়েছে।চাহিদা বাড়ার কারণে ডলারের দামও  বেড়েছে। অন্যদিকে জ্বালানির দামও বেড়েছে। এই যুদ্ধ না থামলে বিশ্ববানিজ্য্র এই টালমাটাল অবস্হার উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। তাই দুর্যোগকালীন এই পরিস্হিতির ঝুঁকি মাথায় রেখেই আমাদের বহিঃঅর্থনীতির ব্যবস্হাপনার কৌশল নির্ধারন করতে হবে। তবে যুদ্ধ থেমে গেলে ডলার বাজারের অস্হিরতা অনেকটাই কেটে যাবে।
এছাড়া গত নয় মাসে আমাদের আমদানিতে প্রতিমাসে গড়ে  ব্যয় হয়েছে ৬.৮৪ বিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে রপ্তানী আয় হয়েছে ৪.০৭ বিলিয়ন ডলার এবং রেমিট্যান্স এসেছে মাসে গড়ে ১.৭ বিলিয়ন ডলার। তাহলে এখানে নয় মাসে বানিজ্যঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪.৯১ বিলিয়ন ডলার। আমদানি বৃদ্ধির হার রপ্তানি বৃদ্ধির হারের চেয়ে ছিল ঢের বেশ। অন্য দিকে এই সময়কালে প্রবাসী আয় কমছে প্রায় ১৭ শতাংশ হারে। তাই চলতি হিসেবে এই নয় মাসে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ১৪.০৭ বিলিয়ন ডলার। এই পরিস্হিতিতে আমাদের একদিকে ডলার সরবরাহ বাড়াতে হবে এবং অন্য দিকে এর ব্যবহারের চাহিদা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আমাদের রপ্তানী আয় ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্হা থেকে লম্বা গ্রেস ও রিপেমেন্ট পিরিয়ডসহ কম সুদের বৈদেশিক ঋন প্রাপ্তি ও ছাড় দইই বাড়ানোর চেষ্টা করে যেতে হবে।একইভাবে বেশি সুদহারের বানিজ্যিক বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে একটু রক্ষণশীল হতে হবে। চড়া সুদের ঋণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে। পিশ্পাশি সরকারের পরিচালন ব্যয় কমাতে হবে। সরকার ইতোমধ্যেই সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমন কমানোসহ বেশ কিছু কৃচ্ছসাধন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে।এক্ষুনি কর্মসংস্হানা ও বিনিয়োগ বাড়াবে না তেমন প্রকল্পে খরচ কমানোর  উদ্যোগ নিয়েছে।এসবের একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে রিজার্ভের ওপর। কেননা বৈদেশিক ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতে হয় রিজার্ভ থেকেই।
ড. আতিউর আরো বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে বিদেশে প্রশিক্ষিত কর্মী প্রেরণ আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের উচিত হবে বিমানভাড়ায় কিছুটা ভর্তুকি দিয়ে হলেও বিদেশে কর্মী পাঠানো। পাশাপাশি যারা এখনো ইনফরমাল সিস্টেমের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠান সেটা বন্ধ করতে হবে। সেজন্য মোবাইল ব্যাংকিংসহ লেনদেন ব্যবস্হা প্রবাসীকর্মী বান্ধব হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘরে বসেই যেন তারা সহজেই ডলার পাঠাতে পারেন সেরকম মূলধারার ব্যাংকিং ও মোবাইল বা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যৌথ লেনদেন ব্যবস্হা নিশ্চয় গড়ে তোলা সম্ভব।প্রবাসী আয় যেন ফরমাল সেক্টরের মাধ্যমে আসে সেটা নিশ্চিত করতে  বাংলাদেশ ব্যাংক একসময় নানা আর্থিক লিটারেসী কর্মসূচি হাতে নিতো।হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে তা জঙ্গিপনা ও অন্যান্য অপকর্মের যে  ঝুঁকি বাড়ে সে সব কথা প্রবসীদের বোঝানো হতো। অন্যদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবসী আয় পাঠালে দেশের রিজার্ভ বাড়ে এবং অবকাঠামোসহ শিল্পায়নে তা ব্যয় করা যায়। এসব তথ্যঅভিযান এখনও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী আয় পাঠালে সরকার এখন আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়। পারলে এই প্রণোদনা সাময়িকভাবে হলেও এক বা আধা শতাংশ বাড়ানো যে পারে। পাশাপাশি টাকার মিনিময় হার নমনীয় রেখে মেজারড ডিভ্যালুয়েশনের যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহন করেছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। এটিও একধরনের প্রণোদনা। তবে খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়। মূল্যস্ফিতি বাগে আনতে এমন বিচক্ষণ বিনিময় হার রিএলাইনমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। বিনিময় হার স্হিশীল হলে পুরো অর্থনীতিও স্হিতিশীল হতে থাকবে।
তিনি বলেন, ডলার সংকট মেটাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্পগুলো আগেভাগে সচল রাখতে করতে হবে।অপ্রয়োজনীয় প্রশিসনিক ও উন্নয়ন ব্যয় কাটছাট করতে হবে। আগেই বলেছি সরকার ইতিমধ্যে বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপ করেছে। আমদানির ক্ষেত্রেও কিছু কিছু সময়পোযেগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলোর কার্যকর করতে পারলে অবশ্যই আমরা একটা ভাল রেজাল্ট পাব। 
তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ থেকে সরাসরি ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের একটা চেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মতো তারা বদারে ছেড়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া খুব বেশি হারে চালু রাখা করা ঠিক হবে না। এটাকে রাখতে হবে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থাকা অন্যান্য  যেসব অস্ত্র আছে সেগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।ভোক্তা ব্যয় হুহু করে বাড়ছে। এটাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।এটা করতে পারলে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমে আসবে। তখন ডলারের চাহিদা কমবে এবং তার যোগানের সংকট কমে আসবে। দামও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে। স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করতে হবে।রাজস্ব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ২০০৮/’০৯ এর বিশ্ব মন্দার সময় বিলাসী পণ্যের বেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মার্জিন অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনই সেটা আরও জোরালোভাবে করতে হবে। প্রয়োজনে সেটা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে হবে। কোনো ক্ষত্রে অতিমূল্যের বলিসী পন্যের আমদানি আপাতত বন্ধ করা যেতে পারি। এই সংকট কালে  অডি গাড়ির মতো বেশিদামের বিলাসপন্যের আমদানি বন্ধ করাটা কি অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে? এই সাহসী কাজটা করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এখানে এনবিআরের সঙ্গেও সমন্বয় করতে হবে। 
ড. আতিউর রহমান বলেন, যেসব বড় প্রকল্প আগাম তিন বছর পর শুরু করলেও কোন সমস্যা হবে না, সেগুলোর বাস্তবায়নকাল অন্তত এক বছর পিছিয়ে দিতে হবে। এতে করে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ও বিদেশী প্রকৌশলীদের বেতন-ভাতাসহ অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা যাবে। এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই। নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয়ে ভাবছেন। ক’দিন আগে একনেক সভায় তিনি এবিষয়ে যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত নীতি নির্দেশনা দিয়েছেন।আমার মনে হয় খুব দ্রুতই এর প্রতিফলন আমরা বাস্তবেও দেখতে পারবো। 
তিনি বলেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা অনেক কাজ করেন । কিন্তু তারা খুব সহজেই তাদের ডলারে করা সেই আয় দেশে আনতে পারেন না। এক্ষেত্রে সেসব ব্যাংকিং জটিলত রয়েছে সেসবের দ্রুত নিস্পত্তি করে  তাদের অর্জিত অর্থ বিদেশ থেকে ফরমাল চ্যানেলের মাধ্যমে দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এতেও কিছুটা ডলার সংকট মিটবে বলে আশা করছি।
তাছাড়া বিত্তবান যে সব প্রবাসী রয়েছেন তারা যেন সহজেই সিমলেসলি যত খুশি প্রিমিয়াম বা ইনভেষ্টমেন্ট বন্ড ডিজিটাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই কিনতে পারেন তা বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চয় নিশ্চিত করতে পারে। সকল প্রবাসীই যদি দেশে ভালো মুনাফায় ডিজিটালি ডেপোজিট হিসেব আমাদের ব্যাংকগলোর এডি শাখায় খলতে পারেন সে উদযোগও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু কাজ শুরু করেছে। এখন দরকার এসব কাজে গতি আনা।
আরেকটি কথা বলেই শেষ করছি। জিজিটাল অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে কার্ডে অনেক এন্টারটেইনমেন্ট পন্য কেনা হচ্ছে। কিছুদিনের জন্য এখানে সীমা টানা কি অসংগত হবে? আমি বন্ধ করার কথা বলছি না। এই সংকট কালে খানিকটা নিয়ন্ত্রনের কথা বলছি। একইভাবে রপ্তানী রিটেনশন কোটা বাবদ যে অর্থ বিদেশে অব্যহৃত রেখে দিচ্ছেন তাদের সেই অর্থ আগামী এক বছরের জন্য দেশে ফেরৎ আনা( রেমিটেন্সের মতো প্রণোদনা সহ) এবং নতন করে এই কোটা একই সময়ের জন্য স্হগিত রাখা গেলে কয়েক বিলিয়ন ডলারের জোগান বাড়বে বলে মনে হয়।জাহাজ পরিবহনে আমরা যদি চট্রগ্রাম থেকে সরাসরি ইউরোপের ডেষ্টিনেশনে আরও সক্রিয় হতে পারি এবং বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মাষ্টার জাহাজ পরিচালনায় প্রণোদিত করতে পারি তাহলে রপ্তানি কারকদের লিড টাইম কমবে । জাহাজ পরিবহন খরচ বাবদ কয়েক বিলয়ন সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।বাংলাদেশ ব্যাংক, শিপিং মন্ত্রনালয় এবং বানিজ্য মন্ত্রনালয় বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয় ভাবতে পারে।
এরকম আরও অনেক ‘আউট অব বক্স’ নীতি ভাবনার সুযোগ রয়েছে। এই সংকটকালে এমন নতুন ভাবনার উন্মেস ঘটুক সেই প্রত্যাশাই করছি।

সর্বশেষ খবর