বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

নাটকীয় শেষ দিনের অপেক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নাটকীয় শেষ দিনের অপেক্ষা

১৮ নম্বর ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করেন তাইজুল ইসলাম। লম্বা পায়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ডিফেন্স খেলেন ল্যাসিথ এম্বুলদুনিয়া। কিন্তু বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন লঙ্কান ব্যাটার। তাইজুলের ওই জাদুকরি বোল্ডে হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে যায় চট্টগ্রাম টেস্টের! ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। আজ পঞ্চম দিন হাতে ৮ উইকেট এবং ২৯ রানে পিছিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবে সফরকারীরা। চতুর্থ দিন শেষে দুই দলের দুই প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে। সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৩৯ রান তুলেছে ২ উইকেট হারিয়েছে। মুমিনুল বাহিনী আজ নাটকীয় শেষ দিনের অপেক্ষায়! টেস্টের ফল যাই  হোক না কেন, টাইগারদের সবচেয়ে বর্ষিয়ান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের জন্য স্পেশাল! ১০৫ রানের ইনিংস খেলার পথে প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিক ৫ হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখান। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে মুশফিকের রান এখন ৮১ টেস্টের ১৪৯ ইনিংসে ৫০৩৭। এই টেস্টে তামিম ইকবালেরও সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর। ১৩৩ রানের ইনিংস খেলা তামিমের রান এখন ৬৬ টেস্টের ১২৬ ইনিংসে ৪৯৮১। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩৯৭ রান তুলতে ব্যাটিং করেছে ১৫৩ ওভার। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ছিল ২.৬৯ রান। একটু গতি ছিল বাংলাদেশের রান তোলায়। ৪৬৫ রান করে ১৭০.১ ওভারে। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ছিল ২.৭১। গতকাল চতুর্থ দিন মুমিনুল বাহিনী খেলতে নামে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান তুলে। ব্যাটিংয়ে ছিলেন ৫৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক ও ৫৪ রানে ব্যাট করতে থাকা লিটন দাস। গতকাল দুজনে বিচ্ছিন্ন স্কোর বোর্ডে আরও ৬৭ রান যোগ করে। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে লিটন ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আউট হন। এটা তার ৩২ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি। লিটনের পর ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিন স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া তামিম। কিন্তু মুখোমুখির প্রথম বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ১৩৩ রানে। ওয়ানডে অধিনায়কের বিদায়ের পর জুটি বাঁধেন দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিক ও সাকিব। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৬ রান। সাকিব ২৬ রান করেন। মুশফিক গ্ল্যান্সে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৭০ বলে। যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরলয়ের সেঞ্চুরি। এর আগে ধীরলয়ের সেঞ্চুরি ছিল ২৩৫ বল, ভারতের বিপক্ষে ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে। অবশ্য দেশের সবচেয়ে ধীরলয়ের সেঞ্চুরির মালিক তামিম। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিম সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩১২ বলে। সেঞ্চুরি করার দুই বল পর মুশফিক বোল্ড হন লঙ্কান বাঁ হাতি স্পিনার এম্বুলদুনিয়াকে সুইপ খেলতে যেয়ে।  বাংলাদেশ অলআউট হয় ৪৬৫ রানে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগারদের এটা চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১৩, ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০৩ ও ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০১ রান করেছিল বাংলাদেশ।

 

সর্বশেষ খবর