বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের দাম ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি টিম। গতকাল রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়। এ সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল, সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। এর বিপরীতে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে কারিগরি টিম। পাইকারি রেটে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিউবো। প্রস্তাবের বিপরীতে ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি। বর্তমানে পিডিবির পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫ টাকা ১৭ পয়সা। বিইআরসির কারিগরি কমিটি এই দাম ভর্তুকি দিলে আগের দাম অর্থাৎ ৫ টাকা ১৭ পয়সা এবং ভর্তুকি না দিলে ৮ টাকা ১৬ পয়সা করার সুপারিশ করেছে। পিডিবির পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতে গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২.১৩ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৬ টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, কয়লার মূসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিটপ্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪.২৪ টাকায়। পাইকারি দাম না বাড়লে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে পিডিবির। বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ?প্রশ্ন উঠতে পারে গ্যাসের দামের গণশুনানির ঘোষণা না দিয়ে কেন আমরা বিদ্যুতের দামের শুনানি নিচ্ছি। আপনারা জানেন, দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের পলিসি সিদ্ধান্তের বিষয় থাকে, সেটি দালিলিকভাবে প্রমাণের বিষয় থাকে। সেটার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। শেষ হলে গ্যাসের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কমিশন তার আইনি প্রক্রিয়াগত কারণে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করছে। পাইকারি দাম ঘোষণা হলে খুচরার ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের কোনো প্রস্তাব আমরা পাইনি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিটপ্রতি ৫.১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর