হজ ফ্লাইটে কোনোভাবেই সাধারণ যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। হজ ফ্লাইট বিপর্যয় না ঘটে সে বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। ফ্লাইট বিপর্যয় ঠেকানোসহ সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোকে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)। ১৭ মে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চলতি বছরের পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সভপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

নির্দেশনায় রয়েছে- হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইনসকে ‘রুট-টু-মক্কা ইনিসিয়েটিভ’-এর বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করতে হবে। হজ ক্যাম্পেই সব ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে হজ ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ স্থাপন করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বিমানবন্দরে অতিরিক্ত দুটি বুথ স্থাপন করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ইমিগ্রেসন সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্যাদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে অগ্রিম সরবরাহ করতে হবে। হজযাত্রীদের আরটি-পিসিআর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল নির্ধারণসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। হজযাত্রীদের কভিড-১৯ টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত ‘সুরক্ষা অ্যাপ’-এ রক্ষিত তথ্য প্রাপ্তি হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। হজযাত্রীদের যেন কোনো কষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে হজ ক্যাম্পে সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষণিক সেবাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করবে। এয়ারপোর্ট থেকে হজ ক্যাম্প পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তা সচল ও বাধাহীন রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী ৩১ মে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হজযাত্রী পরিবহনে এবার আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি এবার হজ ফ্লাইট বিপর্যয় হবে না ইনশা আল্লাহ।’ সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে এর আগে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় ও নির্বাহী কমিটি গঠন করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ২৪ সদস্যবিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান এই কমিটির সদস্য সচিব। এ ছাড়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্য সচিব হচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান।