শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
হলমার্কের ঋণ জালিয়াতি

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ নয়জনের সাজা

আদালত প্রতিবেদক

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক এমডি ও হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডিসহ নয়জনকে দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ঋণ জালিয়াতির মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংক লি.-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবীর, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন, সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান, প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন । ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম সাংবাদিকদের জানান, অর্থ আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই জরিমানা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবে। এ ছাড়া প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড না দিলে আসামিদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। ফলে আসামিদের ১৭ বছর সাজা হলেও প্রত্যেককে ১০ বছর করে জেল খাটতে হবে। তিনি আরও জানান, রায়  ঘোষণার সময় আসামি মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন, শেখ আলতাফ ও কামরুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলা করেন। পরে ঘটনার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর