মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বাজেটে প্রান্তিক এলাকায় বরাদ্দ বাড়ানো উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেটে প্রান্তিক এলাকায় বরাদ্দ বাড়ানো উচিত

হোসেন জিল্লুর রহমান

পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘সরকারের হিসাবে ৫৯ শতাংশ নিরাপদ পানি, আর ৩৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের আর মাত্র আট বছর হাতে রয়েছে। এখানে নীতিসহায়তা এবং অর্থায়ন ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ওয়াসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে।’

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘২০২২-২৩ জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ’ শিরোনামে বাজেটপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এখন শহরাঞ্চলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেটি এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। আরবানাইজ ভিলেজ বাস্তবায়নে আলাদা কাস্টমাইজ পলিসি নিতে হবে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক বৈষম্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোয় প্রত্যন্ত এলাকা, চর, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে সর্বোচ্চ শতাংশ তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ অনুন্নত এসব এলাকায় বরাদ্দের প্রয়োজন শহরাঞ্চলের চেয়ে বেশি। তাই আসন্ন বাজেটে প্রান্তিক একালাগুলোর প্রয়োজন বিবেচনা করা উচিত। এডিপির মোট বরাদ্দের হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এসব এলাকায় বরাদ্দ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ বছর আগের তুলনায় ৭২ শতাংশ কমেছে। সংবাদ সন্মেলনে ‘এডিপি বরাদ্দে আঞ্চলিক বৈষম্য : এসডিজি-৬ অর্জনে একটি বাধা’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।  উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যানিটেশন উপ-খাতেও অগ্রগতির বিষয়টি উদ্বেগজনক। এমডিজি সময়ে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ নির্মূলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করে। জাতীয় অগ্রাধিকার সূচক অনুযায়ী শতভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন সেবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে ২০২১ সাল পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৩৯ শতাংশ। তার মধ্যে গ্রামে ৪২ ও শহরে ৩৪ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিনের অন্যান্য মৌলিক নির্দেশকের অগ্রগতি মাত্র ৫৮ শতাংশ এবং ‘সাবান অথবা পানি ছাড়া’ নির্দেশকের জাতীয় অগ্রগতি মাত্র ৩৬ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়। ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ফানসা-বিডি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফরম, ইউনিসেফ এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর