রবিবার, ৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বুড়িগঙ্গা-তুরাগে পড়ে গেলে মারা যাবেন পানির বিষাক্ততায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুড়িগঙ্গা-তুরাগে পড়ে গেলে মারা যাবেন পানির বিষাক্ততায়

মনজুর এ চৌধুরী

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর এ চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর পাশে প্রবহমান বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদে কেউ পড়ে গেলে তিনি মারা যাবেন। সাঁতার না জানার জন্য তিনি মারা যাবেন না। বরং সাঁতার জানলেও তিনি মারা যাবেন পানির বিষাক্ততার জন্য।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হিউম্যান রাইটস জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর এ চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর পাশে প্রবহমান বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদে কেউ পড়ে গেলে তিনি মারা যাবেন। সাঁতার না জানার জন্য তিনি মারা যাবেন না। বরং সাঁতার জানলেও তিনি মারা যাবেন পানির বিষাক্ততার জন্য।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ সভার আয়োজন করে। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, তিনটি শুশুক ভুলক্রমে তুরাগ নদীতে এসেছিল।? সেগুলোকে পিটিয়ে মারা হয়নি। তারা বিষাক্ত পানিতে মারা গেছে।? ঢাকাবাসীর জন্য পানি (চারপাশের নদী) মরণ হয়ে দেখা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর পানির দূষণমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মনজুর এ চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের আগে এই নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করা হবে।? জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগামী জন্মদিনের আগে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এসব নদ-নদী দূষণমুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, অনেকে বলেছেন, এটা অসম্ভব ব্যাপার। এত বছরে কেউ পারেনি।? আমি তাদের বলি, নয় মাসে দেশ স্বাধীন করা গেলে চারটি নদী দূষণমুক্ত করা যাবে না, এটা হতে পারে না। মনজুর এ চৌধুরী বলেন, ঢাকার চারপাশে দূষণের জন্য যদি কোনো একটা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে দায়ী করতে হয়, তাহলে আমি দায়ী করব ঢাকা ওয়াসাকে। ঢাকায় যত মলমূত্র, এর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এই চারটা নদীতে যায়। এদের দায়িত্ব ছিল পয়ঃনিষ্কাশন লাইন করা। পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের মাধ্যমে এসব যাওয়ার কথা ছিল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে। কিন্তু তা সরাসরি গিয়ে পড়ছে নদীতে। খাল ও নালার দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি নেওয়ার পর নদীর পানি দূষণমুক্ত করতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাদের কঠোর সমালোচনা করেন মনজুর এ চৌধুরী। যাঁরা সৎ, সাহসী ও? মেধাবী, তাঁরা জনগণের সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন নদী রক্ষা কমিশনের এই চেয়ারম্যান। এইচআরপিবি সভাপতি মনজিল মোরসেদ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।?

সর্বশেষ খবর