নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচিত স্বামী ও স্ত্রীকে হত্যা মামলার রায়ে ছয় ভাড়াটে খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামির মধ্যে আরিফুল ইসলাম (৩০), জামাল হোসেন (২০) ও সুমন (৩১) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আসামিরা হলেন সুমন-২, লোকমান ও শফিক। মামলাসূত্রে জানা যায়, স্ত্রীকে হত্যার জন্য স্বামী ছয় ভাড়াটে খুনির সঙ্গে ১০ হাজার টাকায় চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে খুনের পর চুক্তির ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় খুনিরা স্বামীকেও হত্যা করে। নারায়ণগঞ্জ কোর্টপুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রূপগঞ্জ উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামে আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। এতে আবদুর রহমান স্ত্রীকে হত্যা করতে উল্লিখিত ছয় খুনিকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। খুনিরা খাদিজাকে ডেকে একটি নির্জন স্থানে নেয়। সেখানে আবদুর রহমান খুনিদের নিয়ে খাদিজাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ডোবায় গুম করে রাখেন। এরপর চুক্তির ১০ হাজার টাকা খুনিদের না দেওয়ায় ওই সময় খুনিরা আবদুর রহমানকেও খুন করে একই স্থানে ডোবায় লাশ গুম করে রাখে। লাশ দুটি ডোবা থেকে উদ্ধারের পর খাদিজার বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ভাড়াটে খুনি ওই ছয়জনের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।