শিরোনাম
বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন পুলিশকে মারধর, আসামি ৪০০

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধারে আসা আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়। আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে  নেওয়া হয়েছে। আহত অন্য দুই পুলিশ সদস্য হলেন- ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র। গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ গিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ। তিনি বলেন, গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোপথে আসছিল একটি মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক দুর্ব্যবহার করেন এবং পোশাক পরা অবস্থায় অন ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে দুজনকে পুলিশ বক্সে নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।

তখন আশপাশে থাকা সুযোগসন্ধানী লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর করেন এবং পুলিশ বক্স ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের ওপর পা তুলে চেপে বসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করেন। সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা পুলিশ সদস্যদের মারধর ও ধাওয়া করা হয়। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। আহত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে সার্জেন্ট আলী হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক এবং ওই নারী যাত্রীসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আটকরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক মো. রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ভূঁইয়া ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভূঁইয়া। ওই তিনজনসহ অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে শ্যামপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর