বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক পদ্মা সেতু

------- জাপানের রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক পদ্মা সেতু

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক। এ সেতুর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ নামের এ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের গত জাতীয় নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। সেই নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগও ছিল। আমরা প্রত্যাশা করি, আগামী জাতীয় নির্বাচন আগের চেয়ে আরও ভালো হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ইতো নাওকি বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ। বাংলাদেশ এ ফোরামে যোগ দেবে কি না সেটা বাংলাদেশকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে হবে। তবে আমরা চাই, একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিক গড়তে। যেন সব দেশ লাভবান হতে পারে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকা-টোকিওর মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ খুব শিগগিরই আমরা শুরু করতে চাই। কভিড পরিস্থিতির জন্য এটা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জাপান। এর মধ্যে মেট্রোরেল একটি। ডিসেম্বরে এর প্রথম ফেস চালু হবে। মেট্রোরেল চালু হলে এ শহরের মানুষ স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবে বলে আশা করি। রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, জাপান বাংলাদেশের কাছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে আগ্রহী। বিমান বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে রাডার কেনার আগ্রহের মাত্রা বুঝতে জাপানের একটি বেসরকারি কোম্পানি মিতসুবিশি ইলেকট্রিকস বাংলাদেশ সফর করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা ক্রয়ে বৈচিত্র্য আনছে। অন্যদিকে জাপানও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে তার বিধিবিধান শিথিল করেছে। জাপান ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং আসিয়ান দেশগুলোতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করছে। সংখ্যায় কম হলেও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করাটা জরুরি বলে মনে করছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, জাপান রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করাটা জরুরি। ইতো নাওকি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই এ সংকট সমাধানে আমাদের আরও সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজন। মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আটক নেতাদের মুক্তি এবং রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতিতে জোর দেওয়া উচিত, যাতে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।

 

সর্বশেষ খবর