বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

জাপার দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, সাবেক এমপি ছুরিকাহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক এমপি ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেমও রয়েছেন। তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় জাতীয় পার্টির মোজাম্মেল হক গ্রুপ ও আসু গ্রুপের অনুসারীরা বর্ধিত সভাস্থল টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের হলরুমে প্রবেশ করে। এরপর স্থান দখল নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক গ্রুপের অনুসারীরা অপর গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ছুরিকাঘাত করা হয় সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সামনেই এ হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম বলেন, সকাল থেকে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক তার কর্মীদের দিয়ে প্রেস ক্লাবের সিঁড়ি দখল করে রাখেন। সকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সার্কিট হাউসে রিসিভ করে সভাস্থলে যাওয়ার সময় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় উঠলে আমার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে মোজ্জাম্মেল হকের কর্মী ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। আমার শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। অন্য একজনের পাঞ্জাবি নিয়ে সভাস্থলে বসলে শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন দলীয় নেতা-কর্মীরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তাই মেনে নেব। বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দলের মধ্যে যারা এইসব গুন্ডামি-মাস্তানি করবেন তাদের দলে জায়গা নেই। আমার সামনে মারামারি করাটা কোনো শোভনীয় কাজ ছিল না। যারা মারামারি করলেন তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।’ বর্ধিত সভায় আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলার নেতারা।জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘৩২ বছর যাবৎ জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বাইরে, এরপরও জাতীয় পার্টি টিকে আছে। কারণ জাতীয় পার্টি মানুষের কথা বলে। আর আওয়ামী লীগ মাত্র ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল না, তাই তিন টুকরো, চার টুকরো হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা ৮১ সালে দেশে আশার কারণে টিকে গেছে দলটি।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের অনাস্থার কারণে আগামী নির্বাচনে তৃতীয় দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। জাতীয় পার্টি হলো সেই তৃতীয় দল।

সর্বশেষ খবর