বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোট উৎসবে পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ

♦ শেষ মুহূর্তেও নারীদের লম্বা লাইন ♦ সাজার মুখে ১১ বহিরাগত ♦ ইভিএমে ত্রুটি, পাল্টাতে ৪২ মিনিট ♦ আগের রাতে সংঘর্ষে আহত ৩ ♦ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা ♦ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিজিবির লাঠিচার্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা থেকে

কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। দিনভর ইলেকট্র্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ থাকলেও ভোট কাস্ট হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। সকালে এক দফা বৃষ্টি ছাড়া ভোট গ্রহণে বাধার তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। প্রার্থীরাও অভিযোগ করেননি। বিজিবির এক দফা লাঠিচার্জ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। দুপুরের পরে ভোট কেন্দ্রে নারীদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। সব মিলিয়ে আন্তরিক পরিবেশে ভোট প্রদান করেছেন ভোটাররা। ভোটের পরিবেশ বিবেচনায় অনেকটা উতরে গেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। কুমিল্লা নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমিল্লা হাইস্কুলের মহিলা ভোটার কেন্দ্রে একটি ইভিএমে ত্রুটি দেখা দেয়। ছয়টি বুথের মধ্যে ১ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিনটি সকালে ভোটের শুরুতেই বিকল হয়ে যায়। এতে ৪২ মিনিট কোনো ভোট গ্রহণ হয়নি এই বুথে। পরে মোবাইল কারিগরি টিম এসে বিকল মেশিনটি পরিবর্তন করে দিলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ ছাড়া কুমিল্লার দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা বুথের গোপন কক্ষে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি দিতে দেখা যায়। তার নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তা জানাননি। তবে তিনি বলেন, অনেকেই বয়স্ক ভোটার, যারা ভিতরে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না, তাদের নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলিয়া মাদরাসার একটি কেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মজার ঘটনার কথা জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাইমুর রহমান বলেন, সকালে এক ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে ব্যালটে চাপ দেওয়ার পর শব্দ শুনে তিনি ভয় পেয়ে বের হয়ে যান। তার ভোট অসম্পূর্ণ থাকায় অন্য ভোটও নেওয়া যাচ্ছিল না। তাকে বুঝিয়ে ফের ভোট দিতে গোপন কক্ষে পাঠানো হয়। এ ছাড়া দুই ভোটার ইভিএমের ইলেকট্রিক ব্যালটে চাপ দিতে গিয়ে নিচে ফেলে দেন। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পদুয়ার বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোট দিতে এসেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা খাদিজা বেগম। তিনি জানান, দুই ঘণ্টা ধরে গরমের মধ্যে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুরোধ করেও আলাদাভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। তিনি এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলছেন, অনুরোধ করেও ভোট দিতে না পারার বিষয়টি তিনি জানেন না। এদিকে ভোটের আধা বেলায় জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, প্রভাব বিস্তার ও আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ১১ ‘বহিরাগতকে’ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম বলেন, সার্বিক ভোটের পরিবেশ বেশ ভালো। ভোট ছিল উৎসবমুখর। কয়েকটি অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে, তারা ছিলেন বহিরাগত। এ ছাড়া একজন জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় তাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শেষ মুহূর্তেও নারী ভোটারদের লম্বা লাইন : ভোট শেষ হওয়ার বাকি ছিল মাত্র আধা ঘণ্টা; কিন্তু কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা না গেলেও নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। দিশাবন্ধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী ভোটের লাইনে কেউ দাঁড়িয়ে গেলে তার ভোট নিতে হবে। ভোটের সময় শেষ হলেও ভোটার ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রটি নগরীর প্রাণকেন্দ্র টমঝম ব্রিজ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে শহরতলির দিকে। স্কুলের এক দেয়ালের মধ্যেই নারী ও পুরুষের আলাদা দুটি কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে চারটি করে বুথ। দুই কেন্দ্র মিলিয়ে আটটি বুথ। বিকাল সাড়ে ৩টায় গিয়ে দেখা যায়, পুরুষদের কেন্দ্রে তেমন কোনো ভিড় নেই। তবে নারীদের ১ নম্বর বুথে দীর্ঘ লাইন। শতাধিক নারী ভোট দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। তবে অন্য তিনটি বুথের লাইনে ভিড় তুলনামূলক কম। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসগর আলী বলেন, ‘এ কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৯৩৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে ৮৮৫ ভোট। যারা লাইনে আছেন তারা যত সময়ই লাগুক ভোট দেবেন। এটা নিয়ম। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে এক কেন্দ্রের সামনে থেকে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করতে ছুটে যান ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সকালে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধনাইতরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তার নাম মামুনুর রশীদ। তিনি ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আবুল হাসানের সমর্থক বলে জানা গেছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ধাওয়া দেওয়া হয় এবং এ সময় লাঠিচার্জ করা হয়। পরবর্তীতে নৌকার সমর্থকরা স্লোগান দেন এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নৌকার সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়া ভোটারদের কিনে নিচ্ছেন- এ অভিযোগে নৌকা দলীয় সমর্থকরা স্লোগান শুরু করলে বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করেন।

ভোট দিয়ে যা বললেন তিন মেয়র প্রার্থী : কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রিফাত বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী ইনশাআল্লাহ, তবে যে বিজয়ী হবে তাকে ফুলের মালা দেব। আমি আশাবাদী লোক, নিরাশার ধারেকাছেও থাকতে চাই না। সবাইকে বলব আশাবাদী হও।  ভোটের পরিবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ চমৎকার। আপনারা দেখেন পোলিং এজেন্টরা সসম্মানে যার যার জায়গায় আছেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও ইভিএমের ত্রুটির কথা জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। নগরীর হোচ্ছামিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গতকাল সকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন কাজ করতেছে না। আমরা কয়েকটা কেন্দ্রে গেছি। টিপ দিলে ছবি উঠতেছে না। টিপ দিলে তো মার্কার ছবিটা উঠব। আমরা বিষয়টা বলছি। ‘অন্য সবকিছু ঠিক আছে। ওয়েদারটা একটু খারাপ। এর লাইগা ভোটার একটু কম আইতেছে। এটা ঠিক হয়ে যাইব। আমার অন্য কোনো অভিযোগ নাই। খালি ইভিএম পদ্ধতিটা একটু ত্রুটি হইতেছে। ভোট বর্জনের কোনো কারণ আছে কি না সে প্রশ্নে সাক্কু বলেন, আমি তো কইছি, যুদ্ধ থেইকা তো ফিরা যাওন যায় না। রেজাল্ট লইয়াই যাইতে হইব, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন। তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি হানড্রেড পারসেন্ট নিশ্চিত আছি। ওয়েদারটা একটু ভালো হইলে আমার লাইগা ভালো হইত আর কি। কিছু কেন্দ্রে অনেক পোলিং এজেন্ট বসার জায়গা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে গতকাল সকাল ৯টার দিকে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। কায়সার বলেন, আমি খবর পেয়েছি, কিছু কেন্দ্রে এক রুমে বুথ দুটি দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের অনেক এজেন্ট বসার জায়গা পায়নি। সব কেন্দ্রেই আমার এজেন্ট দিতে পেরেছি। এ নিয়ে কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমার জয় নিশ্চিত।

এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন সবুজ টাকাসহ শালবন বৌদ্ধ বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ধরতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজিবির ফোর্স নিয়ে হাজির হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হল লাগোয়া ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইলিয়াসকে আটক করার চেষ্টা করা হলে হল ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা বাধা দেয়। এ সময় নিরুপায় হয়ে চলে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল দুপুরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সালমানপুর এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগের রাতে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার’ অভিযোগে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবিল স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান জানান। আহত উজ্জ্বল, রাফি ও শাওন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে করাত প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের সমর্থক। হুমায়ুন কবীরের অভিযোগ, কাটাবিল এলাকার লাটিম প্রতীকের প্রার্থী আরমানুর রহমান আরমানের লোকজন ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার’ চেষ্টা করছিল। সে সময় তার (হুমায়ুন) লোকজন বাধা দিলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে : ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম : ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। গতকাল কুমিল্লা আদর্শ সদর এলাকার হোচ্ছামিয়া উচ্চবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি সিটি করপোরেশনের ৪০টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। প্রফেসর আবেদ আলী জানান, আমরা সকাল ৯টা থেকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছি। আমাদের পাঁচটি সংগঠন ৪০টি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের উপস্থিতি ছিল আনন্দময়। অনেকেই দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বোঝা যাচ্ছে ভোটের প্রতি ভোটারদের আগ্রহ বেড়েছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। ভোটাররা ছিল খুবই আন্তরিক। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। এতে ভোটাররা কষ্ট পেয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদারসহ অন্য পর্যবেক্ষকরা।

সর্বশেষ খবর