বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন আইন হচ্ছে না সাংবাদিকদের জন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন আইন হচ্ছে না সাংবাদিকদের জন্য

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য দেশে নতুন কোনো আইন হচ্ছে না। প্রেস কাউন্সিলের বেশির ভাগ সদস্যই সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তারাই প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধনের জন্য পাঁচ বছর আগে একটা প্রস্তাব করেছিলেন। সেটি এখনো প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। গতকাল বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট কোটা, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএফইউজে নেতারা। মন্ত্রী দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার আশ্বাস দেন। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজন। অনেক অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপি টিভি এমন কী ইউটিউব চ্যানেলে কর্মরতরাও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তাদের কেউ কেউ আবার জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করে। সেজন্য তারা বেতন না দিয়ে উলটো প্রতিনিধিদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়। তিনি বলেন, বাস্তবতা হলো, এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সে জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলাপ করেছি নিবন্ধিত গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের জন্য। এ সময় বিএফইউজের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রীকে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব দীপ আজাদ বক্তব্য রাখেন।

নবম ওয়েজবোর্ড সংশোধন করে সংবাদপত্রের পাশাপাশি টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যমে তা দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহার, পত্রিকার ঠিক প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, ডিক্লারেশনের ক্ষমতা ডিসি অফিস থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা ও গণমাধ্যম নিয়ে আইন প্রণয়নে বিএফইউজের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। মতবিনিময়ে অংশ নেন খায়রুজ্জামান কামাল, ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, উম্মুল ওয়ালা সুইটি ও আঙ্গুর নাহার মন্টি।

সর্বশেষ খবর