শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ফল ম্যানিপুলেট করার সুযোগ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফল ম্যানিপুলেট করার সুযোগ নেই

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, রিটার্নিং অফিসারের রেজাল্ট ম্যানিপুলেট করার কোনো সুযোগ নেই। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে ফেলার অভিযোগের মধ্যে একথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, আপনাদের (মিডিয়ার) চোখ দিয়ে আমরা দেখেছি-সবাই বলেছে অত্যন্ত সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থীরাও সেটা বলেছে। এখন ফলাফলে রিটার্নিং অফিসারের তো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করার সুযোগ নেই। কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং অফিসার যেটা দিয়েছেন সেটা উনি ঘোষণা করেছেন। বুধবার রাতে ফল ঘোষণা কেন্দ্রে হতাশ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন; আমাকে হারানো হয়েছে। কুমিল্লায় ইভিএমে ভোট হয়। এ নির্বাচনে দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটে পরাজিত করে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ভোটের ফলাফলের পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সেই সঙ্গে ফলাফল না মানলে আইনিভাবে করণীয় কি তাও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, নির্বাচন কমিশন তো সরাসরি পরিচালনা করে না, পরিচালনা করে রিটার্নিং অফিসার। তিনি কেন্দ্র ঠিক করেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন করেন প্রিসাইডিং অফিসার, এ ফলাফলটাই চূড়ান্ত। কেন্দ্রে প্রসাইডিং অফিসার যে ফলাফলটাই করেছেন সেটা কেন্দ্রীয়ভাবে সবার সামনে পড়ে শোনান। উনার ফলাফল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করার সে সুযোগ আছে? বেসরকারি ঘোষণার পর আরও প্রক্রিয়া শেষ করে সরকারিভাবে ঘোষণা করেন, এটাই চূড়ান্ত।

ফলাফল প্রকাশের পরও সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে ইসির সাবেক এ সচিব জানান, চূড়ান্ত ফলাফল কমিশনে পাঠিয়ে দেন রিটার্নিং অফিসার; এরপর গেজেট প্রকাশ করা হয়। এ সত্যের পরও কেউ যদি মনে করেন এখানে ভুল কিছু আছে, আস্থার অভাব আছে তাহলে ইসির ট্রাইব্যুনালে যেতে পারে। এরপর সেটা পছন্দ না হলে আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে পারে। এরপর মহামান্য আদালত আছে, উচ্চ আদালত আছে। অতএব এখানে রেজাল্ট ম্যানিপুলেট করার কোনো সুযোগ নেই। এ ফলাফল প্রার্থী, তাদের এজেন্ট এবং অন্যদের কাছেও আছে।

পরিস্থিতি শান্ত হতে ২০-২৫ মিনিট লেগেছে

ফলাফল ঘোষণা বিলম্বের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, রেজাল্ট দেওয়ার পর এক পর্যায়ে (১০১টি কেন্দ্রের) প্রার্থীর সমর্থকরা এসে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে। রেজাল্ট ঘোষণা যে দেবেন কার কথা কে শোনে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। বিশৃঙ্খলা থামিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিটার্নিং অফিসার এসপি, ডিসিকে ফোন করেন, আমাদের জানান। আমরা তাদের এক্সট্রা ফোর্স দিতে বলি,  তারপর পরিস্থিতি সামাল দেন তারা। ঘোষণা দেওয়ার মতো পরিবেশ হলে রেজাল্ট ঘোষণা করে রিটার্নিং অফিসার। শৃঙ্খলা থাকলে তো ওই সময় ফলাফল ঘোষণা স্থগিত থাকত না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর