বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা আমরা বহু আগে থেকেই জানি। এ কারণে আগেই বলে দিয়েছি, বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই হচ্ছে, তাদের আরও বৈধতা দেওয়া। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৬ জুন ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিতে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সংবাদপত্র এবং গণতন্ত্রের স্বাধীনতা যেহেতু একই জায়গায়, তাহলে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা না পেলে আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কীভাবে পেতে পারি? সেজন্য আমাদের এখন মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, যারা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হরণ করেছিল, তাদের কাছ থেকে তো গণতন্ত্র পাওয়া যাবে না। এখন রাষ্ট্র, জাতি, সংবাদপত্র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছে। আর বিএনপি সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে, বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে। এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। এজন্য আমাদের সব মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। এতকিছুর পরও আমরা কিন্তু থেমে নেই, কাজ করছি। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করা হবে।
