রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
আবাসন খাত

বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থ বিদেশে পাচার রোধে বিনা প্রশ্নে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় এসেছে। সরকার ২ হাজার কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব পেয়েছে। এ টাকা দেশে বিনিয়োগ না হলে তার গন্তব্য কোথায় তা সবার জানা। তিনি বলেন, বর্তমানে ডলারের সংকট কেন তৈরি হয়েছে সেটাও সবার জানা। গেল এক বছরে সুইচ ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ শতাংশ। গত বাজেট অনুমোদনের পর অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যার অভাবে বিনিয়োগ কম হয়েছে। আবাসন খাতে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা, জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় হ্রাস, সেকেন্ডারি বাজার ব্যবসা সৃষ্টির সুযোগ তৈরি, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাউজিং লোন হিসেবে ২০ হাজার কোটি টাকার ফিন্যান্সিং তহবিল গঠন করা এবং নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য হ্রাসে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান রিহ্যাব সভাপতি। তিনি বলেন, দফায় দফায় নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে নতুন ও নির্মাণাধীন প্রকল্পসমূহে প্রতি বর্গফুটের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৫০০ টাকা করে বেড়েছে। ৫০০ টাকা নির্মাণ ব্যয় বাড়লে গ্রাহককে বাড়তি বহন করতে হয় প্রায় ১ হাজার টাকা। কারণ ডেভেলপাররা অধিকাংশ জমি গ্রহণ করে ৫০:৫০ রেশিওতে। বাড়তি দাম ক্রেতার ওপর পড়বে, যাতে অনেকের আবাসনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আবাসন শিল্পের সব সমস্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশে থেকেছেন। বর্তমান সংকটেও তিনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের।

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, নানাবিধ কারণে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। আগামীতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আরও বড় ধাক্কা লাগতে পারে। সেটির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বৈদেশিক মুদ্রা কীভাবে দেশের ভিতরে রাখা যায় তার ব্যবস্থা করছে। এ অবস্থায় আমরা যদি অপ্রদর্শিত অর্থ পাচারের সুযোগ না রেখে মূল ধারার অর্থনীতিতে নিয়ে আসতে পারি তবে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং আসন্ন সংকট মোকাবিলা সহজ হবে। ঘোষিত বাজেটে পাচারকৃত টাকা দেশে আনার বিষয়ে আইন করা হয়েছে, এটি সাহসী পদক্ষেপ। কিন্তু দেশ থেকে যাতে টাকা পাচার না হয় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্তেখাবুল হামিদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) কামাল মাহমুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ নজরুল ইসলাম (দুলাল), ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ লায়ন শরীফ আলী খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর