সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

অতিবৃষ্টিতে ঢাকাও প্লাবিত হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অতিবৃষ্টিতে ঢাকাও প্লাবিত হতে পারে

অতিমাত্রায় পাহাড়ি ঢল ও বেশি বৃষ্টি হলে ঢাকাও প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন  কক্ষে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা প্লাবিত হলে সরকারের প্রস্তুতি কেমন? এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘১০০ অথবা ১১০ বছরে হয়তো এমন দুর্যোগ আসে। এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন সময় এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে। দুর্যোগের জন্য সব সময় আমাদের প্রস্তুতি থাকে। মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা মোকাবিলায় যুগ্মসচিব জসিম উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। পরে প্রয়োজনে পরিবর্তন করা হবে। ১৯৯৮ সালে আমরা বন্যা মোকাবিলা করেছি। তখন বলা হয়েছিল, ২ কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু একজনও মারা যায়নি। তবে যে কোনো খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অপ্রস্তুত থাকা উচিত নয়। সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।’

সড়ক কেটে ফেলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি যাতে সরে যেতে পারে, এ জন্য কয়েকটি রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু রাস্তা কাটার প্রয়োজন পড়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। এতে পানি সহজে নেমে যাচ্ছে। দেশের কোথাও প্রয়োজন হলে আরও রাস্তা কেটে ফেলা হবে।’

খাল উদ্ধার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে ২৬টি খাল হস্তান্তর করেছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাড়ে ছয় একর জমি দখলমুক্ত করেছে। উত্তর সিটি করপোরেশন ২৫ একর দখলমুক্ত করেছেন। এ কাজগুলো চলমান আছে।’

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, নিম্নাঞ্চলটা দ্রুত প্লাবিত হয়। আমরা এখনো সব কাজ করে ফেলতে পেরেছি, তা নয়। কিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলমান আছে। সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলো বেশির ভাগই নিম্নাঞ্চলে। সেখানে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে, যা নিরসনে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে, শেষ হলে সেখানকার অনেক উন্নতি হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকায় যতগুলো খাল আছে, সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। অনেকগুলো হস্তান্তর করাও হয়েছে। যদিও এসব খালের অনেক অংশ অনেকে দখল করে নিয়েছেন, যা দখলমুক্ত করা অনেক কঠিন। আমি যখন শুরুতে মন্ত্রণালয়ে আসছিলাম, তখন জলাবদ্ধতার জন্য গাড়ি আসছিল না, আটকে গিয়েছিল। এখানে এত পরিমাণ পানি জমা হয়ে গিয়েছিল। তেজগাঁও, শান্তিনগরসহ অনেক এলাকায় পানি জমে যেত। খাল হস্তান্তরের ফলে কিছুটা সুফল আমরা ভোগ করছি। সিলেট, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ যেসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা হয়েছে, সেগুলোতে বৃষ্টির পানির পাশাপাশি উঁচু অঞ্চলের পানির প্রভাব আছে।

সর্বশেষ খবর