দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার সবচেয়ে বড় পরিচয়। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ মানবতার সেবায় যে কোনো দুর্যোগে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গতকাল দুপুরে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ নির্মিত পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের করিমপুর কসবা গ্রামের মাঝিপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪টি পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ভার্চুয়ালি নবনির্মিত গৃহসমূহ হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। স্পিকার বলেন, মাঝিপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সব মানবিক সহায়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নবনির্মিত গৃহ হস্তান্তর সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বন্যাকবলিত অঞ্চলে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান। মাঝিপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত জেলে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায়, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আকমল শরীফ ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। এতে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার খাদেমুল রাশেদ, প্রকল্প কর্মকর্তা তারেক রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি মীর মো. আল কামাহ্ তমাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাদেক বিএসসিসহ উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, সাংবাদিক, সুধীজন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ অক্টোবর ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননা করে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার কসবা গ্রামের মাঝিপাড়ায় হিন্দুদের বসতবাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা আগুন দেয় এবং লুটপাট করে।
