শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

আমার পদ্মা আমার জয় বাংলা

আবেদ খান

আমার পদ্মা আমার জয় বাংলা

প্রমত্তা পদ্মার ওপরে স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাসের যে সূত্রপাত হতে যাচ্ছে- যথারীতি এই স্বপ্নের সারথি হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি একের পর এক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও সার্থক করে তোলার জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এমন একটা সময় পদ্মা সেতুর সূচনা হতে যাচ্ছে যখন একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হলো। এখন থেকে ৭৩ বছর আগে যখন আওয়ামী লীগের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল, সেসময় ভিতরে ভিতরে একটা মৌলিক রাজনৈতিক শক্তির জন্ম দেওয়ার ভাবনাটি ছিল আমাদের দেশের প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে এবং মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে। আওয়ামী লীগ হলো সেই রাজনৈতিক দল যে দলটি সর্বদা বাংলাদেশের মানুষের কথাই বলে এসেছে। মধ্যবিত্ত মানুষের চিন্তাভাবনা, আপামর জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষা, এদেশের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা ও অন্তরের কথাগুলো দলটির জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নানাভাবে তা প্রতিফলিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ অবিনশ্বর একটা স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে তাঁর নিজের যে অস্তিত্বের ঘোষণা করেছিল; তা আজও স্বগৌরবে বহমান। 

আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে যখন প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করল সেই সময় পর্যন্ত দেশের রাজনীতি ছিল ভূস্বামী-ধনবান এবং সামন্ত শ্রেণির হাতে কব্জাগত। আওয়ামী লীগ হলো সেই রাজনৈতিক দল যে প্রথম রাজনীতিতে মধ্যবিত্ত, বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ও গণমানুষের প্রবেশ ঘটিয়েছে এবং মানুষের চিন্তা-ভাবনার জগৎটাকে প্রসারিত করার জন্য প্রতি মুহূর্তে তাঁর নিজের অবস্থানকে প্রমাণ করেছে এবং মানুষের কাছে সুদৃঢ় করেছে। এই সুদীর্ঘ পথপরিক্রমা দলটির জন্য কোনোভাবেই সহজ ছিল না; নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও কণ্টকাকীর্ণ ছিল পুরো সময়টিই। পাকিস্তানের তৈরি কাঠামোর ভিতর দিয়েই পাকিস্তানকে অস্বীকার করার ঐতিহাসিক ও সাহসী  কাজটিই করেছিল আওয়ামী লীগ। বাঙালির নিজস্ব জাতিসত্তাকে রক্ষা করার বিষয়টি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম থেকেই খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বুঝতে পেরেছিলেন এবং সেই অনুযায়ী তাঁর লড়াই-সংগ্রামের পথে সেটিকে মৌলিক পাথেয় হিসেবে সর্বদা সম্মুখে রেখেছিলেন। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে রাজনীতিতে পদার্পণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর কলকাতার জীবন এবং পরবর্তী সময়েও তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের এটিই ছিল একটি অন্যতম মন্ত্র।

১৯৫৭ সালে বামেরা সরে গেলে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হলো; তখন অনেকেই ভেবেছিলেন আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়ে গেল; অনেকে আবার দলটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার শেষও দেখে ফেলল। কিন্তু না, আমরা দেখলাম- আওয়ামী লীগ তাঁর নিজস্ব মহিয়ায়, নিজস্ব আদর্শ ও বিশ্বাসের ভিতর দিয়ে আরও দুর্বার গতিতে ধাবিত হতে লাগল এবং নিজেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল। প্রকৃতপক্ষে, সাতান্নতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পুনর্জন্মই হলো। 

আমরা যদি একাত্তর-পূর্ব ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি, এটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে বাঙালি জাতির রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। ’৪৭-এর দেশ ভাগের পর ২৩ বছর বৈষম্যে জর্জরিত হয় পূর্ব পাকিস্তান নামের এই ভূখণ্ডটি। আমরা দেখতে পাই, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে বীজ প্রোথিত হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় হিংস্র পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বহু কাক্সিক্ষত বিজয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে আসে একাত্তর। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার সেই উদাত্ত কণ্ঠের উচ্চারণই ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির চূড়ান্ত উচ্চারণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

যাঁকে ছাড়া অধরাই থেকে যেত বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন, মুক্তির স্বপ্ন; তিনি হলেন বাঙালি জাতির কাণ্ডারি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বিশ্বের চিরবিস্ময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যাঁর পুরোটা জীবন নিবেদন করেছিলেন এদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য; বিনিময়ে সমস্ত প্রকারের অত্যাচার-নির্যাতন-জেল-জুলুম সহ্য করে তিনি হয়েছিলেন নীলকণ্ঠ। লড়াই-সংগ্রামের এই সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে জাতির জনককে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিনই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অতিবাহিত করতে হয়েছে! যার মধ্যে ব্রিটিশ আমলে সাত দিন ছাড়া বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিনই পাকিস্তান সরকারের আমলে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের ১৪টি বছরই ছিলেন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে!

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয়; আইয়ুব খানের সামরিক আইন জারি করলে তাঁকে হতে গ্রেফতার হয়। ১৯৬২, ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। ছয় দফা উত্থাপনের পর জাতির পিতা যেখানে সমাবেশ করতে গেছেন, সেখানেই গ্রেফতার হয়েছেন। এরপর ৬৬-তে আবার গ্রেফতার হয়ে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পান। শেষবার ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই পাকিস্তান সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে এবং পাকিস্তানের কারাগারে তাঁকে হত্যা করার সব পরিকল্পনাই শেষে ভেস্তে যায়। কিন্ত ’৭৫-এ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে সফল হয়। 

ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছিল বাংলাদেশের হৃদয় থেকে তাঁর নাম চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবে; ৭১-এ পরাজিত শক্তির করতলে আবার দেশটাকে নিপতিত করবে। কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই যে, যতই সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে ততই তিনি অধিকতর ঔজ্জল্য নিয়ে পরিব্যাপ্ত হচ্ছেন। তাঁর দেশপ্রেম, তাঁর দূরদর্শিতা, তাঁর জাদুকরী সাংগঠনিক ক্ষমতা, তাঁর মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সারা জীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, সেই ইতিহাস, সেই অমর কীর্তিকে ঘাতকরা কি মুছে দিতে পেরেছে? বরং, সেই দেশটিই আজ পৃথিবীর বিস্ময়, বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ পুরো বিশ্বকে সম্মোহিত করে এগিয়ে চলেছে দোর্দণ্ড প্রতাপে। যে দেশটির জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবনকেই নিয়োগ করেছিলেন এবং যেই স্বপ্নগুলো তাঁর অসম্পূর্ণ ছিল-সেই স্বপ্নগুলো আজ পর্যন্ত তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে পদদলিত করে একটি একটি করে দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ঘাতকরা তাঁকেও বারবার খুন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু জাতীয় চার নেতাকে আমরা নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে দেখেছি। এছাড়াও, দলটির অসংখ্য নেতা-কর্মীর জীবন দিতে হয়েছে। সুতরাং, এই আওয়ামী লীগ যে আজ অবধি মানুষের প্রাণের সংগঠনে পরিণত হতে পেরেছে তার পিছনের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো মানুষের জন্য দলটির বহু ত্যাগ স্বীকার।      

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়।” মুক্তিযুদ্ধেরও লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোরী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন-২০২১’, ‘ভিশন-২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছেন। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। কিন্ত কুচক্রীরা কি আর থেমে আছে? তারা নানা কথা বলে চলেছেন, নানা রকমের ষড়যন্ত্র করে চলেছেন; কিন্তু আওয়ামী লীগ তাঁর পথে অবিচল থেকেছে। আওয়ামী লীগ তাঁর নীতিতে অবিচল, তাঁর আদর্শে অবিচল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল, অসাম্প্রদায়িক চিন্তায় অবচল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে এবং একটি অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্য-বঞ্চনাহীন সমাজ গঠনে নিরন্তর ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যে রাজনৈতিক দল সেই দলটিই হলো আওয়ামী লীগ। এই দলের নেতৃত্বেই আজ জাতির জনকের আশঙ্কা দূরীভূত হয়েছে তাঁরই কন্যার হাতে। আজ দেশে মানুষের খাওয়ার চিন্তা নেই, কাপড়ের অভাব নেই। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এক বিস্ময়কর স্বপ্নের প্রকল্পের সফলতার মুখ দেখছে জাতি এবং সেই অর্জন বিশ্বের মানুষের কাছে এক বিস্ময়ের নাম। যদি সপ্তম আশ্চর্যের পর পৃথিবীতে অষ্টম আশ্চর্যের কোনো কিছুকে বিবেচনা করা হয় সেটা হলো-এই পদ্মা সেতু; যার আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২০ বছর। এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় সারা দেশের মানুষ তো বটেই; পৃথিবীর বহু দেশের মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁরা অবাক বিস্ময়ে ভাবছেন, এই দলটির কাণ্ডারি যেই মানুষটি তিনি কীভাবে সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারলেন!

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যে নৌকা প্রতীক ছিল সেই প্রতীককে আওয়ামী লীগ নিজের করে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই প্রতীক আওয়ামী লীগ বহন করে চলেছে; যেই প্রতীক নদীমাতৃক বাংলাদেশেরই এক চিরন্তন প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বস্তুত, এটি সম্ভব হয়েছে দলটির গণমানুষের কল্যাণে রাজনীতির চর্চা, গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ও নৈতিক আদর্শের প্রতি অটল অবস্থানের কারণেই। সুতরাং, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করেন এবং ভালোবাসেন। 

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় ঋদ্ধ একটা সংগঠন হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তার গৌরবময় ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন যেন একই যাত্রার সহযাত্রী, একে অপরের পরিপূরক, একই বৃন্তে দুটি ফুল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে এই প্রত্যাশা করি যেন বাংলাদেশকে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গৌরবময় অভিযাত্রায় আওয়ামী লীগের আগামীর দিনগুলো মঙ্গলময় হয়; বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জয় বাংলা।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক জাগরণ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর