দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গতকাল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এসব কথা বলেছেন।
মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, এই সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এই সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ?ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণের সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার খামারে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ করতে পারবেন। সবমিলে পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এরপর একে একে সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে।