সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দূরত্ব কমেছে ভাড়া কমেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা সায়েদাবাদের দূরত্ব ২০৭ দশমিক ১ কিলোমিটার। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এ রুটে ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৫৩৭ টাকা ২৯ পয়সা। তবে খুলনা থেকে অধিকাংশ নন-এসি বাসে যাত্রীপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া যাত্রীপ্রতি এসি বাসে ভাড়া আদায় করা হয় ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কাউন্টারে বিআরটিএ নির্ধারিত বাস ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউ। এতে যাতায়াতে দূরত্ব কমলেও সাশ্রয়ী ভাড়ার সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

জানা যায়, খুলনা-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ৩০০/৪০০ পরিবহন যাতায়াত করে। খুলনা নগরীর রয়েল মোড়ে ঢাকাগামী পরিবহনের ২০টির বেশি কাউন্টার রয়েছে। সেতু উদ্বোধনের পর যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় সব পরিবহন ব্যবসায়ীই রুটে বাসের সংখ্যা বাড়িয়েছে। কিন্তু বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না তারা।

ইমাদ পরিবহনের রয়েল মোড় কাউন্টারের ম্যানেজার শরিফ আল মামুন জানান, ‘প্রতিদিন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে এ পরিবহনের ২৩টি বাস ছেড়ে যায়। পদ্মা সেতু চালুর পর আরও দুটি বাস বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, খুলনা-ঢাকা রুটের ভাড়া নন-এসিতে ৬০০ টাকা ও এসিতে ৭০০ টাকা। একইভাবে সোহাগ পরিবহনে যাত্রীপ্রতি নন-এসি ৬০০ টাকা, এসি ১ হাজার ২০০ টাকা, ফাল্গুনি পরিবহনে নন-এসি ৭৫০ টাকা, এসি ৯৫০ টাকা, গ্রীনলাইন বিজনেস ক্লাস ও ডবল ডেকার বাসের ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা, ইকোনমি ক্লাসে ৭৫০ টাকা, টুঙ্গিপাড়া পরিবহনের নন-এসি ৬০০ টাকা, এসি ৭০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। 

যাত্রী নুরুল ইসলাম জানান, বিআরটিএ ঘোষণা সত্ত্বেও নন-এসি পরিবহন ভাড়া ৫৩৭ এর পরিবর্তে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়। এসি বাসের ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি। খুলনা-ঢাকা রুটের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার কম ও লঞ্চের খরচ কমলেও পরিবহনগুলো ভাড়া সমন্বয় করেনি। খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, নন-এসি বাসে ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে দেয়। এসি বাসের ভাড়া মালিকরা নির্ধারণ করেন। আমরা বাস মালিকদের বলেছি কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে।

বিআরটিএ খুলনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, কাউন্টারগুলোতে নির্ধারিত বাস ভাড়ার তালিকা টানাতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর