গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁকে পর্যায়ক্রমে সার্বক্ষণিক মনিটর করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এ ছাড়া মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিন দুই বেলা তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করছেন। কোনোরকমের সমস্যা দেখা মাত্রই আবারও তাকে হাসপাতালে নিয়ে  যাওয়া হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা এবং মানসিক কনফিডেন্ট বাড়াতে বেগম জিয়াকে শুক্রবার এভারকেয়ার হসপিটালস থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নতুন করে কোনো সমস্যা বা উপসর্গ তাঁর শরীরে দেখা যায়নি। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হলে বিদেশের কোনো ‘উন্নত হেলথ সেন্টারে’ তাঁকে নিতেই হবে। অধ্যাপক জাহিদ আরও জানান, চেয়াপারসনের পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান নিজেও সার্বক্ষণিক লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখছেন। যুক্তরাজ্য থেকে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) দুই নাতনি এসেছেন ঢাকায়। তাঁর ছোটো ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান গতকাল দুপুরে ঢাকায় পৌঁছার পর দুজনকেই কভিড টেস্ট শেষে দাদির (খালেদা জিয়ার) সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়।