বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সতর্কাবস্থায় চিকিৎসা চলছে খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব ধরনের শঙ্কার মধ্যেই অত্যন্ত সতর্কাবস্থায় চিকিৎসা চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার পর একটি ৯৯ শতাংশের বেশি অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় তাতে রিং পরানো হয়েছে। আর বাকি দুটি ব্লকের একটি ৮৫ এবং অন্যটি ৬৫ শতাংশ। কিন্তু প্রথমটিতে রিং বসানোর পর তাঁর শরীরে সেটির ধকল এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। ফলে অন্য দুটি ব্লক এ মুহূর্তে সরানোর চিন্তাভাবনাও করা যাচ্ছে না। এজন্য কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা নিয়মিত যাচ্ছেন। তাঁর শরীরের প্যারামিটারগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। আর কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখছেন তাঁরা। অনেক জটিল রোগ রয়েছে তাঁর। তাই কখন কী হয় বলা যায় না। মাত্র কয়েকদিন আগেই তো দেখলেন, অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় রাত ৩টার দিকে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। কাজেই বিষয়টি পুরোপুরি ‘আনপ্রেডিকটেবল’। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সমস্যা বা উপসর্গ তাঁর শরীরে দেখা যায়নি। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হলে বিদেশের কোনো ‘উন্নত হেলথ সেন্টারে’ তাঁকে নিতেই হবে। এটা মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিনিয়তই বলে যাচ্ছেন। মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য আরও বলেন, করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা এবং মানসিক কনফিডেন্ট বাড়ানোর জন্যই মূলত তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। অন্যথায় হাসপাতালেই সার্বক্ষণিক সুপারভিশনে রাখা যেত। তার পরও যথাসম্ভব সতর্কাবস্থা অবলম্বন করছেন চিকিৎসকরা। কোনোরকমের সমস্যা দেখা মাত্রই আবারও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। পর্যায়ক্রমে সার্বক্ষণিক মনিটর করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এ ছাড়া প্রতিদিন দুই বেলা করে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করছেন। একই সঙ্গে তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান নিজেও সার্বক্ষণিক লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে গতকাল জানান, হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ম্যাডামের শরীরে নতুন কোনো জটিলতা বা উপসর্গ দেখা দেয়নি। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

সর্বশেষ খবর