বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেছেন, মানুষ নানা কারণে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়। এর অন্যতম আস্থার সংকট। আবার ১৬ কোটি মানুষের জন্য যত ভালো মানের হাসপাতাল থাকার কথা, সেটা সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে নেই। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অনেকে প্রতিবেশী দেশে যায়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। চিকিৎসার জন্য মানুষ বিদেশনির্ভর হয়ে পড়ছে কেন জানতে চাইলে ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, বিদেশে মানুষ বেড়াতেও যায়। বিদেশে কারও বেড়াতে ভালো লাগে। আবার অনেকে চিকিৎসাও করিয়ে আসে। একসঙ্গে দুই কাজ হয়। আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় প্রযুক্তির উন্নয়ন তেমন ঘটেনি। কাজেই রোগীরা বিদেশমুখী হন। কারণ শরীরটা তার নিজের। রোগী যদি মনে করেন এখানকার চিকিৎসা ভালো নয়, তাহলে তিনি বিদেশ যাবেনই। দেশবরেণ্য এই চিকিৎসক বলেন, তবে একটা বিষয় ঠিক, যে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও ভালো নয়। আমাদের দেশের রোগীরা বেশি ভারতে যান। কারণ ভারতে অনেক নামকরা ভাল হাসপাতাল আছে। যা আমাদের দেশে নেই। আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা যখন আরও উন্নত হবে, তখন রোগীরা বিদেশমুখী হবেন না। সবাই যে বিদেশ গিয়ে ভালো চিকিৎসা পান তাও কিন্তু নয়। ওখানে গিয়েও রোগীরা অনেক সময় প্রতারিত হন। সবাই ভালো চিকিৎসা পান না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ১৬ কোটি মানুষের জন্য যত ভালো মানের হাসপাতাল ও চিকিৎসাব্যবস্থা থাকা দরকার সেটা আমাদের দেশে নেই। সেটা সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতে কোথাও নেই। ভৌগোলিক কারণে রোগীদের ভারত যাওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। যেমন যশোর থেকে কলকাতা কাছে হয়। যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব বেশি। কাজেই যশোরের মানুষ সাধারণত চাইবে যেহেতু কলকাতা কাছে, তাই কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে। যদি তার পাসপোর্ট ও ভিসা থাকে। যোগাযোগব্যবস্থার ফলেও রোগী অন্য দেশে চিকিৎসা নিতে যান। আবার দুই দেশের চিকিৎসার তুলনা করা যায়। ছোটখাটো রোগের চিকিৎসার জন্য কলকাতা যায়। আর বড় কিছু হলে ভেলর, মাদ্রাজ, দিল্লিতে যায়। তবে এই প্রবণতা মোটেও ভালো নয়। আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার।
