রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

আফিমের চালানসহ দুজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওষুধের কাঁচামালের আড়ালে একটি মাদকের চালান আসবে ঢাকায়- এমন খবর পেয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। এরপর পল্টন এলাকায় ক্রেতার ছদ্মবেশ ধারণ করে ডিএনসি পরিদর্শক মো. শাহীনুল কবীর জব্দ করেছেন তিন কেজি আফিম। যদিও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি দাবি করেছেন, জব্দকৃত বস্তু ওষুধের কাঁচামাল। তবে আফিম কি না, তা জানতে রাসায়নিক পরীক্ষা করে ডিএনসি। তাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, চালানটি আসলে আফিমের। গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল। চালানটি আফগানিস্তান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে ধারণা তাদের। জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে, একটি চক্র আফিমের বড় চালান ঢাকায় এনে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। এর প্রেক্ষিতে নজরদারি জোরদার করি ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করার পর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে পল্টন মডেল থানার পুরানা পল্টন লেন (ভিআইপি রোড) থেকে দুই কেজি আফিমসহ মো. আবুল মোতালেব (৪৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া (৪৪) নামে আরেকজনকে আরও এক কেজি আফিমসহ গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আবুল মোতালেবের বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনশক্তি ব্যবসায় জড়িত। তবে এর আড়ালে তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়ার বাড়ি জামালপুরে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি বেসরকারি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। এর আড়ালেই তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

কীভাবে আফিমের চালান জব্দ করা হলো সে সম্পর্কে জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, শপিংব্যাগের ভিতরে একটি প্লাস্টিকের বৈয়ামের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো ছিল দুই কেজি আফিম। অপর এক কেজি আফিমও পলিথিনে মোড়ানো ছিল। আফিম একটি ‘ক’ শ্রেণির মাদক। উদ্ধারকৃত তিন কেজি আফিমের আনুমানিক বাজারমূল্য পৌনে তিন কোটি টাকা। উদ্ধারকৃত আফিমের চালানটি ফেনী থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আফিমের ব্যবহার দুইভাবে হয়ে থাকে। এক আফিম সরাসরি সেবন এবং দুই আফিম দিয়ে কেমিক্যালের সাহায্যে হেরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলের মতো ভয়ংকর মাদক তৈরি। আফগানিস্তান ছাড়াও পাকিস্তান ও ইরানে এর চাষাবাদ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আফিম চোরাচালানের সঙ্গে আরও দুজনের নাম আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

 

সর্বশেষ খবর