বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

যুক্তরাজ্যে মন্ত্রীদের গণপদত্যাগ, চাপে বরিস জনসন

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে মন্ত্রীদের গণপদত্যাগ, চাপে বরিস জনসন

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী। সর্বশেষ মন্ত্রিসভার অন্তত ২৭ জন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের পর গতকালও একই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন শিশু ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স এবং জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট। সূত্র : বিবিসি, এএফপি। পদত্যাগের পর লরা জানিয়েছেন, তিনি সরকারের ওপর ‘আস্থা’ হারানোর জন্য পদত্যাগ করছেন। উইল কুইন্সও বলেছেন, এ মুহূর্তে পদত্যাগ করা ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগে কখনো এত বড় সংকটের মুখে পড়েননি। এই সংকট কাটিয়ে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কি না- সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বরিস জনসন দুঃখ প্রকাশ করার পর পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকারি পদে অযোগ্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে তিনি ভুল করেছেন। পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে তার এমপি পদ বাতিল করা হয়। এর আগেও বরিস জনসনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস মহামারির বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে পার্টি অয়োজনের অভিযোগ উঠেছিল। এ জন্য পুলিশ তাকে জরিমানাও করে।

ঋষি সুনাক ও সাজিদ জাভিদ তাদের পদত্যাগপত্রে সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী জনসনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঋষি বলেছেন, জনগণ আশা করে যথাযথভাবে, দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে সরকার পরিচালিত হবে। আর সাজিদ বলেছেন, একের পর এক কেলেঙ্কারির পর তিনি মনে করেন না যে, এই সরকারের সঙ্গে আর কাজ করতে পারবেন। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জনসনের সক্ষমতার ওপর তিনিসহ অনেক এমপি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। স্বাস্থ্য ও অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, এটি পরিষ্কার যে সরকার ভেঙে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, মাত্র গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দলের এমপিদের এক আস্থা ভোটে জয়ী হন। তবে নিজ দলের বিশালসংখ্যক এমপি সেদিন তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ আইন অনুসারে, আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না। তবে কয়েকজন এমপি তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এই আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে জনমত জরিপগুলোও বলছে, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই এখন জনসনের বিদায় চাইছেন।

সর্বশেষ খবর