বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। বর্তমানে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থ পাচার আর মহাদুর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। সেটি আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতা-কর্মীদের রক্ত ঝরছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য বিএনপি নেতা-কর্মী। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। গণতন্ত্র উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এ সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদের আগে পরেও আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত স্তিমিত হয়নি। প্রচণ্ড বেগে গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তবে সরকার পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন এখন অতি সন্নিকটে। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অথচ তাদের ওপর পুলিশ যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায় তা নজিরবিহীন। পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা বিএনপির উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেও বানচাল করতে হামলা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় সরকারের ফ্যাসিবাদের উগ্ররূপ প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ৪০টি মোটরসাইকেল ভস্মীভূত করা এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, তার মাসহ বিএনপির নেতাদের ওপর যে পৈশাচিক হামলা করা হয়েছে তা বর্তমান সরকারের সন্ত্রাসনির্ভর অপরাজনীতির আরেকটি প্রকাশ। রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংহের পাগলার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
