ঈদের আগের সপ্তাহে উত্থানে ছিল শেয়ারবাজার। তবে ঈদ পরবর্তী প্রথম সপ্তাহে মাত্র তিন দিনের লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। এই তিন দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে কমেছে সব সূচক। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরও কমেছে।

জানা গেছে, ঈদের ছুটির কারণে গত সপ্তাহের রবি ও সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। এতে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয় মোট তিন কার্যদিবস। এ তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন  হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা; যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। দাম কমেছে ২৩৪টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৮৫১ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তিতাস গ্যাস।