বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার নীতির কারণে ভারতে শান্তি

মতবিনিময়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

মুহাম্মদ সেলিম, আসাম (ভারত) থেকে

শেখ হাসিনার নীতির কারণে ভারতে শান্তি

আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কারণে ভারতের মাটিতেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এর ফলে ভারতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি চলমান রয়েছে। ড. বিশ্বশর্মা মঙ্গলবার রাতে আসামের গুয়াহাটিতে রাজ্যের  অতিথি ভবন ‘কইনাধারা’য় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণেই আসাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। উলফা (আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন) নেতাদের বিরুদ্ধে তাঁর অ্যাকশন আসামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য ভূমিকা রেখেছে। ঢাকা থেকে গুয়াহাটির সরাসরি বিমান যোগাযোগ আগামী তিন মাসের মধ্যে শুরু হবে জানিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালের আগে বাস সার্ভিস চালু ছিল। এবার চালু হলে ঢাকা থেকে সিলেট, ভায়া টাওকি হয়ে শিলং বাস যাবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আসামের মানুষের ভূমিকার কথা তুলে ধরে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আসাম ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে রয়েছে রক্তের সম্পর্ক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এ সম্পর্ক আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণেই আসাম ভারতের মধ্যে এখন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ়চেতা অবস্থান আসামকে অনেক বড় সহায়তা করেছে। উলফা লিডারদের বিরুদ্ধে তাঁর অ্যাকশন ভীষণভাবে সহায়তা করেছে আমাদের। এজন্য তাঁর প্রতি আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের আসাম সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর মাধ্যমে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। শেখ হাসিনা যদি ওই সময় (অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টাকালে) উলফার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতেন আজ আমরা এভাবে এই শান্তিপূর্ণ রাজ্যে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাতে পারতাম না। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণার যে সফর আয়োজন হয়েছে, এ গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারতাম না। ড. বিশ্বশর্মার বক্তব্যের আগে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী (বীরবিক্রম) বক্তব্য দেন। তিনি বিশ্বশর্মাকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তাঁর হাতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রও তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাম সরকারের প্রাচ্য কার্য পরিক্রমাবিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী, মুখ্য সচিব জিষ্ণু বড়ুয়া, সচিব মানবেন্দ্র প্রতাপ সিং ও জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ইফতিখার জামান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর