বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এ মুহূর্তে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) কোনো ঋণের প্রয়োজন নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনো দেশে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। আর রিজার্ভ নেই নেই বলা হলেও এখনো এর পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার।

গতকাল সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ নেওয়ার জন্য আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। তারা আমাদেরকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব দেয়নি। আমরা এমন কোনো প্রকল্প বা ফান্ডিংয়ে যাব না    যেগুলো আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী। নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো কিছু করব না। তিনি বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশে আসছে, এটা একটা পরামর্শক কমিটি। তারা পরামর্শ দেয়, আমরাও তাদের পরামর্শ দিই। তারা আমাদের কাছে কী জন্য আসছে সে ব্যাপারে ফরমাল কিছু বলেনি। বাংলাদেশের রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের দ্বিমত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের বিষয়টি হলো বিভিন্ন দেশ যেভাবে করে, যেভাবে হিসাব করা হয়, আমরা সেভাবেই করেছি। সেভাবেই হিসাব করে যাব। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আইএমএফ আমাদের যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে সে পরিমাণ টাকা কি তারা পায়নি? তারা বলতে পারবে না একদিন পরে তাদের টাকা পেমেন্ট করেছি। আমরা তাদের বারবার আশ্বস্ত করেছি, আমাদের ঋণ দিলে তাদের কখনো সেটা মাফ করতে হবে না। আমাদের ঋণ শোধের ক্যাপাবিলিটি (সামর্থ্য) ভালো। আমরা সবসময় পেমেন্ট করে আসছি। আইএমএফ বড় অঙ্কের একটি ঋণের প্রস্তাব সরকারকে দিয়েছে, এ ঋণ নেবেন কি না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এগুলো যখন আসবে জানতে পারবেন। এগুলো কোনোটাই না জানার বিষয় নয়। ঋণ আমাদের প্রয়োজন হলে নেব। তবে আমাদের এ মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফ মাঝেমধ্যেই আসে। দেখাশোনা করে যায়। তাদের যে পরামর্শ থাকে সেটি দিয়ে যায়। তাদের পরামর্শ সরকারের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। সংস্কারমুখী কিছু প্রজেক্টের কথা সবসময় বলে থাকে। বাজেটেও অনেক কমিটমেন্ট করেছি, সেগুলো সম্পন্ন করতে পারলে দেশের জন্য ভালো। এসব প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কখনো ডেইলি বা উইকলি বেসিসে হিসাব করা হয় না, মাসিকও নয়। সব সময় বার্ষিক গড় হিসাব করা হয়। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে এখনো আমাদের হার ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন এটি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।’ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের মতভেদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে রিজার্ভের হিসাব করি, সেভাবেই করব। ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তখন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। পরে তা বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশে কী হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা খোঁজখবর রাখছি এবং তার সঙ্গে অ্যাকোমোডেট করার চেষ্টা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর