রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের ফাঁস ক্যাপাসিটি চার্জ

নয় মাসে দেওয়া হলো ১৭ হাজার কোটি টাকা, তিন বছরে পরিশোধ ৫৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ না পেলেও অর্থ দিতে হচ্ছে অনেক কেন্দ্রকে

জিন্নাতুন নূর

বিদ্যুতের ফাঁস ক্যাপাসিটি চার্জ

ক্যাপাসিটি চার্জ বিদ্যুৎ খাতে বিশাল ফাঁস তৈরি করেছে। বৈষম্যমূলক এ ব্যয়ের খাত অর্থনীতিকে করে তুলছে অস্থিতিশীল। অনেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন না করেও সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে নিচ্ছে। হাতে গোনা কয়েকটি দেশি-বিদেশি কোম্পানি শুধু লাভবানই হচ্ছে। আর সার্বিকভাবে লোকসানের মুখে পড়ছে সরকারের বিদ্যুৎ খাত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বর্তমান অর্থনীতির কথা বিবেচনায়, বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল অর্থনীতিতে এবং করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে সরকারকে ভারমুক্ত হতেই হবে। একই সঙ্গে সরকারকে বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জের চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে এখন কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। অন্যথায় বিদ্যুৎ খাত আরও নাজুক অবস্থায় চলে যাবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে বিদ্যুৎ আমরা কাজে লাগাতে পারব না, সে জিনিস তৈরি করে এভাবে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার কোনো প্ল্যান ইঞ্জিনিয়ারিং কনসেপ্টে গ্রহণযোগ্য নয়। এ রকম কাজ ‘অনৈতিক’। একে অপরাধও বলা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া মানে সেখানে সরকারের অপচয় হচ্ছে বা চুরি হচ্ছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হয়ে এখনই চুক্তি স্থগিত করে কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যদি কোনো কেন্দ্র বছরে খুব কম ব্যবহৃত হয় কিংবা যেসব কেন্দ্র একেবারেই ব্যবহৃত হয়নি কিন্তু স্ট্যান্ডবাই হিসেবে বসে আছে, সেগুলো চালু রাখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা যদি বিদ্যুৎ নিতেই না পারি তাহলে এমন বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের জন্য এ অবকাঠামো তৈরির কোনো দরকার ছিল না। যে জিনিস আমরা কাজে লাগাতে পারব না, সে জিনিস তৈরি করে এভাবে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার কোনো প্ল্যান ইঞ্জিনিয়ারিং কনসেপ্টে গ্রহণযোগ্য নয়। এ রকম কাজকে অনৈতিক বলা যেতে পারে। এ রকম কাজ অর্থনীতির জন্য বোঝা। এর মাধ্যমে মানুষের চাপ বাড়ানো হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেলের ভর্তুকি বেড়ে যাচ্ছে। যখন আমরা জ্বালানির বর্ধিত দাম দিতে পারছি না, তখন আমাদের বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত থাকার অর্থ হচ্ছে এসব অবকাঠামো আর কাজে লাগছে না। এ বিষয়ে যারা পরিকল্পনা ও পলিসি করেন তাদের এটি না জানা থাকা এক ধরনের অপরাধ। এ মানুষগুলো তো এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ বলেই তারা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করেন। যে পরিকল্পনার আওতায় এ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সে পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এটি যথাযথ নয় এবং কারিগরি বিবেচনায় কখন গ্রহণযোগ্যও নয়। এ ধরনের পরিকল্পনাকে কেন অপরাধের পর্যায়ে ধরা হবে না? এতে যদি জবাবদিহি থাকত তাহলে এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও গ্রহণ করার পর্যায়ে যেসব ব্যক্তি কাজ করেন তারা সতর্ক হতেন। এ অবস্থাটি বুঝতে না পারাও চরম সত্যকে অস্বীকার করা।’ জাতীয় সংসদ ভবনে সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সরকারি-বেসরকারি ৯০টি কেন্দ্রকে গত বছর জুলাই থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে সরকার ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া দিয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।

অনেক সময় কোনো কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র অলস রেখে ভাড়া দিতে হয় বলে এ ক্যাপাসিটি পেমেন্ট নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। এ কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ সরকারকে অনেক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে বলা হয়েছে, এ কেন্দ্র ভাড়ার মধ্যে সরকারি কোম্পানিগুলোকে আলোচ্য নয় মাসে দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকার মতো। প্রায় ১২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে। এর মধ্যে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি), ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (রেন্টাল, কুইক রেন্টাল) ও আমদানি করা বিদ্যুৎ রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। এ বিদ্যুতের আমদানি ব্যয়ের ৪০ শতাংশই যায় ক্যাপাসিটি চার্জে। বিশেষ করে শীতকালে যখন চাহিদা কমে যায় তখন আমদানি কমে আসে। কিন্তু বিদ্যুৎ কম এলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এর আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হয়েছিল ১৮ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। এর আগের অর্থবছরে দিতে হয়েছিল ১৮ হাজার ১২৩ কোটি টাকার মতো। অর্থাৎ তিন বছরে মোট ভাড়া দেওয়া হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অথচ পদ্মা সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর এ ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় ২১ হাজার ৩৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের হিসেবে। কিন্তু গত এপ্রিলে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। আর এখন উৎপাদিত হচ্ছে কমবেশি ১৩ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ সমানই আছে।

উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় নেওয়া উদ্যোগে আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড প্রদেশের গোড্ডা জেলায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে, যার বেশির ভাগই বাংলাদেশে রপ্তানি হবে। পিডিবির তথ্যানুযায়ী, এ কেন্দ্রটি আগস্টে উৎপাদনে যাবে। তবে এর সঞ্চালন লাইনটি এখনো প্রস্তুত নয় এবং ডিসেম্বরের আগে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। ফলে বিদ্যুৎ পাওয়ার আগেই ওই কেন্দ্রের ভাড়া গোনা শুরু হবে। ‘আদানি গোড্ডা কোল পাওয়ার প্লান্ট : অ্যান অ্যাকিলিস হিল অব দ্য পাওয়ার সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, কেন্দ্রটির ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসের ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) হবে ১৪১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার (১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা)।

এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ের এপিআর এনার্জি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ক্ষমতা ৩০০ মেগাওয়াট। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কেন্দ্রটি থেকে মাত্র ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা সক্ষমতার ১ শতাংশেরও কম। কিন্তু কেন্দ্রটিকে ৫৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়। ফলে আইপিপি কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় পড়ে ১ হাজার ৫৭৯ টাকা ৫৭ পয়সা, যা দেশে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে। ২০২০-২১ অর্থবছরে একই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৭ কোটি ৭২ লাখ ইউনিট উৎপাদন করায় প্রতি ইউনিটের খরচ পড়েছে ৮৯ টাকা। এ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি দাম পড়েছে ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সিরাজগঞ্জের প্যারামাউন্ট বিট্যাক এনার্জি লিমিটেডের উৎপাদিত বিদ্যুতের। প্রতি ইউনিটের দাম পড়েছে ১৮০ টাকা। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার ৪০ থেকে ৪৮ ভাগ গড়ে অব্যবহৃত থাকে। কিন্তু তাদের ভাড়া দিতে হয়।

বিশ্লেষকরা জানান, চাহিদা না থাকলেও বিগত দিনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এমনকি জ্বালানি সংকটের কারণে সরকার যখন ঘোষণা দিয়ে সাতটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে, তখন চারটি উচ্চ ব্যয়ের কুইক রেন্টালের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আর এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বেশির ভাগ সময়ই বসিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ‘বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটারনাল ডেবট’ বা বিডব্লিউজিইডির গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শীর্ষ ১২টি কোম্পানি ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রদত্ত মোট ক্যাপাসিটি চার্জের ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ তালিকায় রয়েছে দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘শীতকালে চাহিদা কম থাকায় অলস বসে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। আবার দিনের বেলা কিছু কেন্দ্র আছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে না থাকলেও সেগুলো পিক লোডে চলে। এগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জও স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় দিতে হয়। আর সার্বক্ষণিক যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চলছে সেগুলোকেও আমাদের সার্বক্ষণিক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। সেটা সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সব জায়গাতেই দিতে হয়। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচের একটি অংশ হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। আমার যদি উৎপাদন খরচ ১৫ টাকা হয় এর মধ্যে ১৩ টাকা জ্বালানি ও ২ টাকা হচ্ছে ক্যাপাসিটি খরচ। আবার যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র অলস বসে থাকে তখন জ্বালানি খরচ হচ্ছে না, অথচ তখনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। প্রয়োজন না থাকায় তখন হয়তো সরকার বিদ্যুৎ নিচ্ছে না কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই দিচ্ছে। আমাদের যা দেখতে হবে তা হচ্ছে যেসব কেন্দ্র আদৌ বা সারা বছর ব্যবহার হচ্ছে না বা খুব কম ব্যবহার হচ্ছে, এত কম ব্যবহার হচ্ছে যে এর থাকার কোনো দরকার নেই, সেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জই চিন্তার বিষয়। সেখানে সরকারের অপচয় হচ্ছে বা চুরি হচ্ছে। এ ধরনের কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হয়ে এখনই চুক্তি স্থগিত করে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যদি কোনো কেন্দ্র বছরে খুব কম ব্যবহৃত হয়, কিংবা যেসব কেন্দ্র একেবারেই ব্যবহৃত হয়নি, আর যেগুলো স্ট্যান্ডবাই হিসেবে বসে আছে, সেসব কেন্দ্র চালু রাখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ ক্ষেত্রে সরকার পুনর্বিবেচনা করে পুরনো যেসব কেন্দ্র অলস বসে থাকে তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন তো করবেই না, বরং চুক্তি বাতিল করতে পারে।’

এদিকে জ্বালানি সংকটের কারণে সাতটি ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ সাত কেন্দ্র বসিয়ে রাখতে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ মাসে পরিশোধ করতে হবে ১৭৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ছয়টি বেসরকারি ও একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে বলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানিয়েছেন। জ্বালানিবিষয়ক সাময়িকী এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ক্যাপাসিটি চার্জের হিসাবে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। সরকারের পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান করার পরিকল্পনায় ভুল ছিল। সরকার শেষের দিকে এসে ১ হাজার মেগাওয়াট ডিজেলসহ যে ২ হাজার মেগাওয়াট তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে এটা করা ঠিক হয়নি। এখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করায় ক্যাপাসিটি চার্জ বেশি দিতে হচ্ছে। আমরা যে পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছি সেভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। এতে অপচয় হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে যদি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পর তা ব্যবহার না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয় সেটা অন্যায়। আমাদের দেখতে হবে কেন্দ্রগুলো থেকে আমরা কতটা বিদ্যুৎ চেয়েছি, আর এর বিপরীতে কতটা বিদ্যুৎ কিনতে পেরেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর