রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

৮৬ মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮৬ মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সংকট নিরসনে তাঁর ভাষায়, গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ‘মিট দ্য ওকাব উইথ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম মিঠু। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার এখন পুরোপুরি গভীর সংকটে। তাঁর মতে, দেশের এখন যে সংকট তার নিরসনে একমাত্র বিকল্প বিএনপি। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী, এবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে এ সরকারের পতন অনিবার্য।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে বিএনপির কোনো ‘ব্যাক ডোর’ নেই। ‘ব্যাক ডোর’ বলতে কোনো কথা নেই। আমাদের যা কিছু সব ‘ফ্রন্ট ডোর’। আমরা সব সময় সামনে থেকে, প্রকাশ্যে জনসভার মধ্য দিয়ে ঘোষণা দিয়েছি। বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বলে দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকার বাংলাদেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। সুশীলরা কথা বলতে ভয় পান। সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পান, বিচারপতিরা ন্যায়বিচার করতে ভয় পান। অর্থনীতিকে সরকার একটি ত্রাসে পরিণত করেছে। দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ হয়েছে, যা আগে ৪০ শতাংশের নিচে ছিল।

তিনি বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সরকার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। যে দেশের মানুষ উৎসব করে ভোট দিত, তারা আজ কেন্দ্রে যায় না। মানুষের কোনো আস্থা নেই নির্বাচনে। বিদেশিরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ইতোমধ্যে ভুয়া নির্বাচন বলে দিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ আজ উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে। কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘অদ্ভুত এক আঁধার এসেছে এ পৃথিবীতে’। ‘নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে কি না?’ এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা তো নির্ভর করবে সরকারের ওপর। সরকার যদি দেশে মারামারি দেখতে না চায় তাহলে তাদের পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। যেটা আমরা করেছিলাম সেইভাবে। সবই সম্ভব যদি সরকার চায়।

‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের মিল আছে কি না?’ এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতির মিল দেখছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট, লোডশেডিংসহ অনেক কিছু দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার বিষয় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সেটাই আমরা বারবার সতর্ক করে আসছি।

বিএনপির নেতৃত্ব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের চেয়ারপারসন। তিনিই আমাদের নেত্রী। তাঁর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রয়েছেন, তিনি নেতৃত্ব দেবেন। এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর