সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

আলোচনায় সাধারণ সম্পাদক

কী হবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আলোচনা সারা দেশে, সম্মেলনে আগ্রহ নেই সহযোগী সংগঠনের, মূল দলের নির্দেশ মানছে না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচনায় সাধারণ সম্পাদক

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে আলোচনা বাড়ছে সারা দেশের দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হতে যাওয়া সম্মেলনে নতুন গতিশীল নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন কর্মীরা। আলোচনা তুঙ্গে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো বহাল থাকবেন, নাকি নতুন কেউ আসবেন, কর্মীদের মুখে মুখে সেই আলোচনা।

এদিকে সম্মেলন করা নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া নির্দেশের পরও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের কেউই সম্মেলনের ব্যাপারে উৎসাহ দেখাচ্ছে না। বরং কোনো কোনো সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিরক্তি

 প্রকাশ করছেন সম্মেলনের বিষয়ে। কেউ কেউ বলছেন, সভানেত্রী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্মেলনে যাব না। সহযোগী সংগঠনের এসব কর্মকান্ডে বিস্ময় তৈরি হলেও কেউ কিছু বলছেন না। বরং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। অনেক সহযোগী সংগঠন কেন্দ্রের আগে সম্মেলন করতেও নারাজ এমন ভাব দেখাচ্ছে। 

আগামী ২০ ডিসেম্বর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যেই দলের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিসেম্বরে এই সম্মেলন আয়োজনের কথা বলেছেন। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। যথাসময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের নীরব প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এবারের জাতীয় সম্মেলনে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও থাকবেন কি না তা নিয়ে নিজে মুখ খোলেননি। পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ আলোচনা এখন তুঙ্গে। নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তাঁরা হলেন- দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মন্ত্রিত্বে নেই এমন নেতারাই দলের সাংগঠনিক কাজে এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। কর্মীদের তাঁরা সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়ায় এবং সারা দেশে সম্মেলনে অংশ নিয়ে নিজেদের আলোচনায় রেখেছেন। আগামী সম্মেলন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাঁদের মতে, অনেক ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী এই দলটির জন্য ২০২৪ সালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০২৩ সালে অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হবে। কর্মী মহলে জনপ্রিয় দলের জন্য সময় দিতে পারবেন এমন নেতাদের নেতৃত্বে আনা উচিত বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বর্তমানে কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কহীন ও কোনো ধরনের সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে সক্ষম নন তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে না আনাই উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সম্মেলনের সবকিছু নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর। তাঁর একক জনপ্রিয়তায় আওয়ামী লীগ বর্তমানে শক্ত অবস্থানে। টানা তিনবারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড স্থাপন করেছে দলটি। চতুর্থবার আওয়ামী লীগের সামনে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে গতিশীল নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এ কারণেই কর্মী মহলে অভিজ্ঞ, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদের নিয়েই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

দলের জাতীয় সম্মেলনের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ কারণে দলের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নেতাকেই সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা হবে বলে নেতা-কর্মীরা বিশ্বাস করছেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর