বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ডলারের দাম উঠল ১১২ টাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের বাজারে হাহাকার প্রতিদিনই বাড়ছে। ১ টাকা, ২ টাকা নয়, এক লাফে প্রায় ৭ টাকা বেড়েছে ডলারের দর। গতকাল খোলাবাজারে ১ ডলার ১১১ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে কোনো কোনো এক্সচেঞ্জ হাউস ১১২ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। সকালে ১১০ টাকা দরে ডলার বিক্রি হলেও দুপুরের পর এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে দর ১১২ টাকায় উঠে যায়। বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৭ বিলিয়ন ডলার সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি সংকটের ধাক্কায় বাংলাদেশে ডলারের বাজার এখন অস্থির। কয়েক মাসের টালমাটাল পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। জ্বালানি সংকটের সঙ্গে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় বাংলাদেশের কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিন ধরে ডলারের বাজারে দর তীরের বেগে ছুটছে। মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে ১২ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে ডলারের দর। আগের দিন সোমবার খোলাবাজারে ১ ডলার কিনতে খরচ হয়েছিল ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে ডলারপ্রতি রেকর্ড ৬ থেকে ৭ টাকা বেড়ে তা ১১১ থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে পাসপোর্ট এনডোর্স করতে হয়। তবে খোলাবাজার থেকে কিনতে এর প্রয়োজন নেই। এ কারণে খোলাবাজারের ডলারের চাহিদা থাকে বেশি। মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার ১১০ থেকে ১১১ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ এক দিন আগেও এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতি ডলার ১০৫ টাকায় বিক্রি হয়। আন্তব্যাংক লেনদেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ৯৪ দশমিক ৭০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তবে এই দরে কোনো ব্যাংকের লেনদেন হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতেও ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। কয়েকটি ব্যাংক আগের দিনের চেয়ে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে গতকাল ১০২ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত দরে ব্যাংকগুলোতে কেউ ডলার কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। পণ্য আমদানির প্রয়োজনে তাদের ১০২ টাকা দিয়েই ডলার কিনতে হচ্ছে ব্যাংকের কাছ থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডলারের সংকট মেটাতে প্রতিদিনই সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বাজারে অস্থিরতা যেন তৈরি না হয় সে জন্য ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাহিদার তুলনায় খুবই অল্প পরিমাণ ডলার পাওয়া যাচ্ছে, যা দিয়ে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। খোলাবাজার থেকে ব্যাংকগুলোকে ডলার কিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর