শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
গ্রামীণ টেলিকম নিয়ে দুদক সচিব

ড. ইউনূসসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমে দুর্নীতির অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ বিতরণ না করে আত্মসাৎ ও প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

দুদক সচিব বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। সেখানে যে অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো- অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট। শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন। শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। ওই কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়ার পর আপনারাই জানতে পারবেন এর সঙ্গে কে কে সম্পৃক্ত। অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অবশ্যই গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন। অনুসন্ধানের সময় তিনি বিধিবিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর