শিরোনাম
শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

মানবতাবিরোধী অপরাধে খুলনায় ছয়জনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার আমজাদ হোসেনসহ ছয় আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২২ মে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ৭৫ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন হাওলাদার, ৬৫ বছরের সহর আলী সরদার, ৭০ বছর বয়সী আতিয়ার রহমান শেখ, ৮০ বছর বয়সী মোতাসিন বিল্লাহ, ৬৬ বছর বয়সী কামাল উদ্দিন গোলদার এবং ৬০ বছর বয়সী পলাতক মো. নজরুল ইসলাম। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আর পলাতক আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন গাজী এইচ এম তামিম। আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়। চার অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন। দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশি বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা। তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে। চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর এই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আবদুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

সর্বশেষ খবর