শিরোনাম
সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে একজন নিহত

ভোলায় গুলি টিয়ার শেল, আহত ৫০, সারা দেশে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে একজন নিহত

ভোলায় গতকাল বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়

দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএনপির চার কর্মীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠিতে পুলিশের বাধা ও প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ ১৫ জন নেতা আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে নাটোরসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-  ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, একজন নিহত : ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে বরিশালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে বরিশাল এবং পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের গুলিতে দলীয় কর্মী নিহত হয়েছে উল্লেখ করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। অপরদিকে পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিং করে জানান, বিএনপি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বেলা ১১টায় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। অপরদিকে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। ভোলা সদর থানা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলাল উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ১৩ জনকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্য থেকে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই চোখে ছররা গুলি লেগেছে। ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার জানান, বিএনপির কর্মীরা প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল এবং ১৬৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে বেলা ২টায় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম নিহত হয়েছেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করেন। তিনি জানান, পুলিশ তার বাড়ি অবরোধ করে রেখেছে। আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। সাংবাদিক ছাড়া তার বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি অবরুদ্ধ রয়েছেন। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান বিএনপি সভাপতি। এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারেফ হোসেন, জেলা বিএনপির সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুুম্যান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক খন্দকার আলামিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, সমাবেশের অনুমতি না নিয়েই বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছে। তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয়নি। সমাবেশ শেষে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি রাস্তায় নেমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিএনপি কর্মী নিহত হওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে। তবে হাসপাতালের ডাক্তারদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, মাথায় আঘাতজনিত কারণে বিএনপি কর্মী আবদুর রহিম নিহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, বিএনপি কর্মীদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে তিনি মারা গেছেন। তিনি জানান, শহরের পরিস্থিতি শান্ত। দেশের মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়েছে- নজরুল : দেশের মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে এর চেয়ে বেশি দুর্দশার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, কেরানীগঞ্জ থানা সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগে কখনো সুইস ব্যাংকে টাকার কথা, সেকেন্ড হোমের কথা, বেগমপাড়ার কথা শুনিনি। কয়েক বছর ধরে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার, বেগমপাড়ার কথা শুনছি।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বেগমপাড়ায় রাজনীতিবিদদের চেয়ে ব্যবসায়ীদের বাড়ি বেশি। কারা সেসব রাজনীতিবিদ, কারা সেসব ব্যবসায়ী, তা জানার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে। কিন্তু সরকার এসব তথ্য জানাবে না। কারণ এসব লোক আওয়ামী লীগের। সরকার তাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয় বলেই কিছু প্রকাশ করতে চায় না।’ ঝালকাঠিতে পুলিশের বাধা, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫ : ঝালকাঠিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে দলটি।  বেলা ১১টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে নিয়ে জেলা বিএনপির নেতারা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেন, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. এজাজ হাসান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শামিম তালুকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বাচ্চু হাসান খান, বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম লিমন, ঝালকাঠি পৌর বিএনপি নেতা ৮ নম্বর বিপ্লব হোসেন মাসুম, জেলা ছাত্রদলের গোলাম আজম সোহান, মহিউদ্দিন সরদার মঈনসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক তরুণ কর্মকার জানান, নাগরিক সমাজের উদ্যোগে একটি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কারও ওপর হামলা করা হয়নি। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ মাঝখানে থেকে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

নাটোরে পুলিশের বাধা : সকালে শহরের আলাইপুরের জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা  করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধার মুখে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। জেলা বিএনপির শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন। ইসি পুনর্গঠন করতে হবে- আলতাফ : বরিশালের সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘ইভিএম ভোট আমরা মানব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ইসি পুনর্গঠন করতে হবে এবং ইভিএম বাদ দিতে হবে। তাহলেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।’ বরিশাল সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এ ছাড়া বিএনপি নেতা বিলকিস জাহান শিরিন, আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, আবু নাসের মো. রহমাতউল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবর রহমান নান্টু, সদস্যসচিব আক্তার হোসেন মেবুল ও জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্যসচিব মিজানুর রহমান মুকুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ : খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে যুবদল, ছাত্রদলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণকে পিষে মারছে বলে অভিযোগ করেন। একনায়কতন্ত্র, লুটপাটের কারণেই সংকট- নিতাই : সরকারের একনায়কতন্ত্র, লুটপাটের কারণেই দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে এত সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশ আজ দেউলিয়ার পথে। বর্তমানে মাত্র এক মাসের জ্বালানি মজুদ আছে। এর পর দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কল্পনার বাইরে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল মালেক প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন। টাঙ্গাইলে সমাবেশ : শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে বিএপি। জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার। এ ছাড়া বিএনপি নেতা বেনজির আহমেদ টিটোসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন।

সর্বশেষ খবর