সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

কোচিং সেন্টার কে মনিটরিং করবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোচিং সেন্টার কে মনিটরিং করবে?

রাশেদা কে চৌধুরী

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের বিধান অনুযায়ী শিক্ষকরা নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। তবে আইনের এই বিধান মানা হচ্ছে কি না তা মনিটর করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। এই বিষয়টি উত্থাপন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষক তার নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন কি না তা মনিটর করবে কে?

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন, ২০২২ বিষয়ে নাগরিক সমাজের ‘অবস্থানপত্র’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান ও এডুকেশন ওয়াচ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কাজী খলীকুজ্জমান এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন। তিনি পিকেএসএফেরও চেয়ারম্যান। রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, কোচিং সেন্টার বা শিক্ষকদের কে মনিটরিং করবে? এটা কোচিং সেন্টারে উৎসাহিত করে। এটার নানা ভাবে অপব্যবহার হবে। এ জন্যই স্থায়ী শিক্ষা কমিশন দরকার। শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে কি না, তা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। যদি এটি চূড়ান্ত হয়েও থাকে, তাহলেও যেন এটি জনসমক্ষে প্রকাশ এবং মতামতের সুযোগ করে দেওয়া উচিত।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, কোচিংবাণিজ্য কোনোভাবেই বৈধতা দেওয়া যাবে না। তবে যেসব কোচিং সেন্টারে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিউশনি করিয়ে অর্থ আয় করার সুযোগ পান, সেগুলো চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর