মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, যারা উন্নয়নবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-গ্যাস-সারের মূল্য বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ অসহনীয় এবং আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, জার্মানিতে ৮.৯%, রাশিয়ায় ১৫.৯%, তুরস্কে ৭৮.৬%, নেদারল্যান্ডসে ৯.৪%, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৯%, এবং পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ২১.৩% ছিল। সেখানে বাংলাদেশে জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৫৬%। দেশের ভিতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অবস্থা তুলনামূলকভাবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশেও এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জ্বালানি সংকট চলছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার কমিয়েছে। অনেক উন্নত দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে, এর অনিবার্য প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি এবং উৎপাদন ব্যবস্থায়।

সর্বশেষ খবর