বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আবার হতচ্ছাড়া ব্যাটিং, সিরিজ হাতছাড়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিরিজ জিততে শেষ ওভারে টাইগারদের দরকার ছিল ১৯ রান। আফিফ হোসেন ফিনিশ করতে ব্যর্থ হন। ৮ রানের বেশি নিতে পারেননি। ওভারে একটি ওভার বাউন্ডারি কিংবা বাউন্ডারি ছিল না। আফিফ ২৭ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ৩টি চার থাকলেও ছিল না কোনো ছক্কা। শুধু আফিফ নন, কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারই জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেননি। ফলে ১৫৭ রানের টার্গেটে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে। হেরে যায় ১০ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা হেরেছিল ১৭ রানে। সিরিজ সমতা এনেছিল টাইগাররা ৭ উইকেটি জিতে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হঠাৎ সুযোগ পাওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৭ বল ২৭ এবং মেহেদি হাসান ১৭ বলে ২২ রান করেন। টাইগারদের গোটা ইনিংসে ছক্কা ছিল একটি। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে ব্যাটাররা ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১০টি। চার মেরেছেন টাইগার ব্যাটাররা ১০টি এবং স্বাগতিক ব্যাটাররা ১১টি। ম্যাচসেরা রায়ান বার্ল একাই ছক্কা মেরেছেন ৬টি। ইনিংসের ১৫ নম্বর ওভারে তিনি নাসুমের ওভারে ৫টি ছক্কা ও এক চারে নেন ৩৪ রান। যা জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ২০১৯ সালে মিরপুরে সাকিব  হাসানের ওভারে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রান নিয়েছিলেন বার্ল। টি-২০ সিরিজ শেষ। এখন প্রস্তুতি ওয়ানডে সিরিজের। ৫ আগষ্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। পরের দুটি ৭ ও ১০ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে টাইগারদের নবম টি-২০ অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৫ নম্বর ওভারটি ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। আফিফ চেষ্টা করেছে। এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ওয়ানডে সিরিজের জন্য। সবাই জানে আমরা কতটা শক্তিশালী ওয়ানডে ক্রিকেটে। আশা করছি ওয়ানডে সিরিজে আমরা ভালো করব।’

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ১৫৬/৮, ২০ ওভার  রেগিস চাকাভা ১৭, ক্রেইগ আরভিন ২৪, রায়ান বার্ল ৫৬, লুক জঙ্গি ৩৫। মাহাদি হাসান ২/২৮, হাসান মাহমুদ ২/২৮, নাসুম আহমেদ ১/৪০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১/৮)

বাংলাদেশ: ১৪৬/৮, ২০ ওভার (লিটন দাস ১৩, এনামুল হক বিজয় ১৪, নাজমুল শান্ত ১৬, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৭, আফিফ হোসেন ৩৯*, মাহাদি হাসান ২২। ভিক্টর নুই

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর