শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

টাকা পাচার করে নতুন বেগমপাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাকা পাচার করে নতুন বেগমপাড়া

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা পাচার করে নতুন নতুন বেগমপাড়া বানানো হচ্ছে। পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের মতো বর্তমানেও সরকারকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতির বাস্তবায়নে জ্বালানি সনদ চুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাব আয়োজিত ওই সংলাপে এম শামসুল আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। সংলাপে অংশগ্রহণ করেন প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া, হুমায়ুন কবির, ক্যাবের কোষাধ্যক্ষ ড. মনজুর ই খোদাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এনজিও ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, জ্বালানি সনদ চুক্তি ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি বাস্তবায়নকে অসম্ভব করে তুলতে পারে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষায় এই আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোটি একপেশেভাবে কার্যকর। এটা দ্বন্দ্ব নিরসনের নামে স্বাগতিক রাষ্ট্রের জন্য একরকমের আইনি ফাঁদ। তাই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জ্বালানি সনদ চুক্তির বিরোধিতা করাটাই মূল কাজ। রাষ্ট্র কিছু প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য দেশের পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। এটা হতে পারে না। এই চুক্তিকে না বলা জরুরি। একই সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইন-২০১০ এর বিরোধিতাও করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, এ ধরনের জ্বালানি সনদ চুক্তি করলে পুনরায় তাদের সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমরা একটি পাওয়ার প্লান্ট চালাতে পারি না। বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত কর্মী আনতে হয়। পারি শুধু জ্বালানি খাতের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে। যে টাকা গ্যাস উৎপাদন ও উত্তোলনে খরচ করার কথা সেটি ব্যবহার করা হয়েছে আমদানিতে। জনগণের টাকা এভাবে খরচ করা লুণ্ঠনের মতো।

 

সর্বশেষ খবর