বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ঋণ দেওয়ার শর্ত খুবই শক্ত। তারা বলেছে কোথাও সাবসিডি (ভর্তুকি) দেওয়া যাবে না। তেলের সাবসিডি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এই কঠিন শর্ত পূরণ করতেই মধ্যরাতে তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। তিনি বলেন, সরকার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে সাড়ে চার শ কোটি ডলার। দেশের রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে তারা ঋণ নিচ্ছে। অথচ এতদিন মিথ্যাচার করে এসেছে। বলে এসেছে আমাদের রিজার্ভের কোনো ঘাটতি নেই। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে যারা দিন আনে দিন খায়- তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রদল। ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের পরিচালনায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশের জন্য ভয়াবহ দানবে পরিণত হয়েছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া একজন দেশপ্রেমিকের কাজ। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে সংগঠিত করে একটা দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ‘জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু’র বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, জ্বালানি তেলের দাম একটু বাড়ানো হবে। তবে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই তেলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছেন। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ভয়ংকর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। দেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয়, ভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। চাল, ডাল তেলের দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হবে। কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা। মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়েছে। মানুষ এখন দিশাহারা হয়ে গেছে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই সরকার দুর্নীতি শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। মধ্যরাতে হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। যে ডিজেলের দাম ৮০ টাকা ছিল সেটা করেছে ১১৪ টাকা। ৮৬ টাকার পেট্রোল করেছে ১৩০ টাকা। যার ফলে রাস্তায় যানবাহন কমে গেছে।
