শিরোনাম
সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
গাজীপুরে বাসে ধর্ষণ

মিলেছে আলামত জবানবন্দি দিল পাঁচজন

গাজীপুর ও শ্রীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে ভোররাতে তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তি এবং ভুক্তভোগী তার জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীকে শনিবার রাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হয় বলে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. এ এন এম আল মামুন জানান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিকালে গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনই গতকাল গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সজীব ও শাহীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইখলাস উদ্দিনের কাছে, রাকিব মোল্লাহ ও সুমন হাসান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইসরাত জেনিফার জেরিনের কাছে এবং সুমন খান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জুবাইদা নাসরিন বর্ণার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারকের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভিকটিম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা বেগমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন জানান, নওগাঁয় আত্মীয়র বাড়ি বেড়ানোর শেষে উক্ত নারী তার স্বামীর সঙ্গে বাসে করে এসে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস মোড়ে গিয়ে নামেন। পরে তিনি মাওনা যাওয়ার উদ্দেশে স্বামীকে নিয়ে তাকওয়া পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসটি গাজীপুর মহানগরী অতিক্রম করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে শ্রীপুরের মাওনা ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর বাসের চালক ও হেলপার এবং অন্যরা মিলে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। পরে বাসটি মাওনা হয়ে রাজেন্দ্রপুর এলাকার দিকে রওনা হয়। পথে ওই নারীকে তারা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন এবং তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ এবং নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেন। ধর্ষণের পর নারীকে রাজেন্দ্রপুরের কাছে নির্জন স্থানে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই নারী হোতাপাড়া এলাকায় অবস্থিত জয়দেবপুর থানায় গিয়ে ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানায়। তিনি জানান, এ ঘটনার আট ঘণ্টার মধ্যে জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত সব মালামাল উদ্ধার ও তাকওয়া বাসটি জব্দ করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দরিপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে রাকিব মোল্লা (২৩), নেত্রকোনা জেলা সদর উপজেলার গুপিরঝুপা গ্রামের মৃত সানোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন খান (২০), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠালকাচারি গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৩), একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোলা গ্রামের তুলা মিয়ার ছেলে মো. শাহীন মিয়া (১৯) এবং খুলনার রূপসা উপজেলার খান মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত নূর আলমের ছেলে মো. সুমন হাসান (২২)।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর