শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

সাত দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ, লক্ষ্য আন্দোলন

জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাত দল নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ, লক্ষ্য আন্দোলন

সরকার পতনে সাত দলের সমন্বয়ে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামের নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাতদলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ করেছে। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জোট আত্মপ্রকাশ করে। জোটভুক্ত দলগুলো হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এই মঞ্চের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এ মঞ্চ গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্র, সংবিধান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারব্যবস্থা নিয়ে মঞ্চের সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাবসহ দাবি রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ূম। নতুন এ জোট আগামী ১১ আগস্ট রাজধানীতে প্রথম কর্মসূচি দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও শাহবাগে ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামী ১১ আগস্ট ঢাকায় মিছিল-সমাবেশ করবে নতুন এই জোট।  এ ঘোষণা দেন জোটের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আ স ম আবদুর রব বলেন, ষড়যন্ত্র নয়, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাবে গণতন্ত্র মঞ্চ।

নতুন এ জোটের ঘোষিত রূপরেখায় বলা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে; জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে; একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে; রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ- সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও সরকারের জবাবদিহির কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার এবং একই সঙ্গে ফেডারেল পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় কমিশন গঠনের বিষয়গুলোও রূপরেখায় উঠে এসেছে।

সর্বশেষ খবর