মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শাহবাগে হামলার পর এবার মামলা পুলিশের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত রবিবার শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ‘পুলিশের হামলা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। গতকাল সংগঠনগুলো এ কর্মসূচি পালন করে। এদিকে, রবিবারের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে সংগঠনগুলোর ২১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

গতকাল বাম সংগঠনগুলো ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল বের করে। এটি শাহবাগ মোড় হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। কর্মসূচি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের ব্যানারে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীসহ আটটি বাম ছাত্রসংগঠন অংশ নেয়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, রবিবার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রতিবাদে শিগগিরই আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। এদিকে, রবিবারের ঘটনায় শাহবাগ থানায় উপপরিদর্শক পলাশ সাহা বাদী হয়ে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে ‘বেআইনিভাবে দাঙ্গার উদ্দেশে রাস্তা অবরোধ, অবৈধ সমাবেশ, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত ও হাড়ভাঙা জখমের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। হামলায় যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার শাহবাগে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মসূচি চলাকালে কথা কাটাকাটির জেরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো পুলিশের বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলার অভিযোগ আনলেও পুলিশ তা অস্বীকার করে। এদিকে, মামলার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের আহত করল এবং উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিল। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলা বন্ধ করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর