ডলার ও ইউরোর দর এখন সমান সমান। বৈদেশিক এ দুই মুদ্রার দর গতকাল খোলাবাজারে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায় কেনা-বেচা হয়েছে। অবশ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্তব্যাংক নির্ধারিত দর রয়েছে মার্কিন ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা ও ইউরো ৯৬ টাকা ৪৫ পয়সা। বাজারে ডলার সংকটের কারণে দুই মুদ্রার দরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এতে ডলারের দর রেকর্ড ১১৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) অভিযানের পর খোলাবাজারে ডলারের দর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এতদিন ডলার ১০৮ থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আবারও বাজার অস্থির হয়েছে। ডলার না পেয়ে ক্রেতারা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা কেনায় ইউরোর ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। এই চাপের কারণে ডলার ও ইউরোর দর এখন সমান হয়ে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ডলারের সরবরাহ কমেছে। এ জন্য দাম বেড়েছে। এর আগে খোলাবাজারে ডলার কিনতে কোনো কাগজ দেখাতে হতো না। এখন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকেও ডলার কিনতে দেখাতে হচ্ছে পাসপোর্ট। সম্প্রতি দেশে ডলার সংকট শুরু হলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে ডলার সংকট আরও তীব্র হয়। এসব অনিয়ম ও কারসাজি মোকাবিলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনএসআই।