নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যে টাকায় বাংলাদেশ গ্যাস আমদানি করে তার চেয়ে কম খরচে দেশের মাঠ-সাগর থেকে গ্যাস তোলা যাবে। মান্না গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ‘জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি : বহুমাত্রিক প্রভাব এবং বাংলাদেশের গন্তব্য কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন। জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনসহ সংগঠনটির নেতারা বক্তব্য রাখেন। নাগরিক ঐক্যের নেতা মান্না বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, আমাদের দেশে এই পেট্রোল-অকটেন তৈরি হয়। প্রয়োজনে রপ্তানি করতে পারি, বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন নেই। তাহলে সংকট কেন। তাহলে কি তিনি আসলেই জেনে কথা বলেন, নাকি সবসময় না জেনে কথা বলেন। আমরা সবসময় গ্যাস আমদানি করেছি। কিন্তু যে টাকায় আমদানি করি, তার থেকে কম খরচে দেশের মাঠ-সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। মান্না বলেন, মন্ত্রীরা বলছেন, আমরা সংকটে আছি। আইনি পথে ব্যাংকের মাধ্যমে ৭০ হাজার কোটি টাকা আর বেআইনিভাবে ২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে চালান হয়। সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয় না। সরকার সেই লোকগুলোকে ধরে না। আবার সংসদে দাঁড়িয়ে বলে, অর্থ পাচারকারীদের তালিকা তাদের কাছে আছে। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত যখন বলছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কাছে সুইস ব্যাংকের তথ্য চায়নি। তখন তারা কী জবাব দেবে? এখন হাই কোর্টও জানতে চাইছেন সরকার কি আসলেই আবেদন করেছে কি না! যা জনগণও জানতে চায়। মান্না বলেন, আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ কি শ্রীলঙ্কা হচ্ছে! এটা আমাদের কথা নয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সূত্র ধরে বিবিসি বলছে। আসলেই আমরা ঝুঁকিতে আছি। তাঁর মতে গায়ের জোরে এ সরকার দেশ চালাতে পারবে না। কোনো ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা আর তারা রাখে না। সরকার চলে যাবে এ বিষয়ে মানুষ আর আশাবাদী নয়। সরকার তো আর এমনি এমনি যেতে চায় না। বাঘের পিঠে উঠেছে। তাদের নামানো কঠিন। তাদের অনেক বুদ্ধি। কলাকৌশল জানে।
এ জন্য বুঝতে পেরেছে যে, নিরপেক্ষ ভোট (নির্বাচন) দিলে মানসম্মান থাকবে না। তিনি বলেন, দিন দিন জমজমাটভাবে মানুষের মধ্যে রাজনীতির বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে এমন মানুষ দেখি না। যারা শুধু সুবিধা পায়, তারাই বলে আওয়ামী লীগ আছে। এখন টকশোতে আলোচনা শেষে দেখা হলে আওয়ামী লীগের বক্তারা বলে, বলা লাগে তাই বলি।
