মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদন -পিআইডি

শোকাচ্ছন্ন নীরবতায় যেন থমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। মৃত্যুঞ্জয়ী মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভোলেনি কৃতজ্ঞ বাঙালি। নতুন করে নতুন শপথে বলীয়ান হয়ে বাঙালি জাতি শোক ও গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ করল।

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল সারা দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি ছিল জাতীয় শোক দিবস। এই দিনে গোটা জাতি শপথ নিয়েছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মৌলবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার। শোকাবহ এই দিনে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাঞ্জলিতে সিক্ত হয়েছে টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থল, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বনানী কবরস্থান। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। সকাল ৬টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিন বাহিনীর সদস্যরা জাতির পিতার প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানান ও বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

পরে দলের সভানেত্রী হিসেবেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান ও এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ। পরে সকাল আটটায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সময় মা-ভাইসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তিনি। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বেলা পৌনে বারোটার দিকে যান টুঙ্গিপাড়ায়। সেখানে পৌঁছে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দোয়া ও ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন সরকারপ্রধান। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন, বনানী কবরস্থানে ছিল শোকার্ত লাখো মানুষের ঢল। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণ ছিল জনারণ্য। গতকাল দিনটি ছিল সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকারি-বেসরকারি রেডিও ও টিভি চ্যানেলগুলো দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দেশজুড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা, চিত্রাঙ্কন, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। রাজধানীসহ সারা দেশে শোকের প্রতীক কালো পতাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড ও তোরণ নির্মাণ করা হয়। অলিগলিতে মাইকে বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, কবিতা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণামূলক গানও প্রচারিত হয়। ভোর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের রাস্তায় সমবেত হতে থাকেন। থানা, ওয়ার্ড ও মহল্লায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরআনখানি, মোনাজাত, আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয়। সকালে ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

বঙ্গভবনে দোয়া মিলাদ মাহফিল : গতকাল বাদ আসর বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। মাহফিলে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রপতির সচিবরা, বঙ্গভবনের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা অংশ নেন। মিলাদের পর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা : গতকাল সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ অন্য কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। 

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা : জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরীসহ প্রেস ক্লাবের নেতারা।

এতিমদের তবারক বিতরণ : রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ ডেমরা চৌরাস্তাসহ ১৬টি স্থানে অসহায়-দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার জ্যেষ্ঠপুত্র ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। এদিন মশিউর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ছাড়াও দলীয় নেতা-কর্মীসহ অন্যদের জন্য ছিল গণভোজের আয়োজন। 

বায়তুল মোকাররমে কোরআন খতম দোয়া : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ১০০ বার পবিত্র কোরআন খতম করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ খতম ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুশফিকুর রহমান। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা রুহুল আমীন। জাতীয় শোক দিবসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৮ জন অসহায় দরিদ্র মানুষকে স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়। ৭৬টি পরিবারকে ৭৬টি সেলাই মেশিন, ১০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ১০টি হুইল চেয়ার এবং দুজন অসহায় ব্যক্তিকে রিকশা বিতরণ করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ড. মীজানুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

মুক্তিযোদ্ধাদের শোক ্যালি : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবনে শোক র‌্যালিসহ শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুর নেতৃত্বে এ মিছিল নিয়ে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরে তেজগাঁও শাহ মাজার প্রাঙ্গণে কোরআন খতম মিলাদ মাহফিল আলোচনা শেষে তবারক বিতরণ করা হয়। এ সময় মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সিবিএ নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সেক্রেটারি মো. ফরিদ, কমান্ডার আবুল বাসার ও তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল মাদরাসা ও এতিম খানার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। লালমাটিয়া মোহাম্মদপুরস্থ আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল মাদরাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জৈনপুরের পীর আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ মাওলানা কারি রওশন আরা নূরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সেগুনবাগিচা ইউনিট আওয়ামী লীগের আয়োজনে দোয়া, মিলাদ ও তবারক বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক ফোরকান মিঞা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি এফ আহমেদ খান রাজীবের পরিচালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিসহ অসংখ্য বন্ধুর সমাগম ঘটে। সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শায়িত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

 

সর্বশেষ খবর