বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে করা মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পরে আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আদালত রুল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে আপাতত শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা থাকবে না। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী। এর আগে আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে বিষয়টিতে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়। অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান। মামলায় বলা হয়- কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘনের প্রমাণ পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। মামলায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে আবেদন করা হয় হাই কোর্টে।

 

সর্বশেষ খবর