চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডিত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবুল রহমান প্রকাশ রনি ও আবদুল গাফফার। এর মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন পলাতক। ২০১৫ সালে সংঘটিত বোমা হামলার প্রায় সাত বছর পর গতকাল মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২) ও ১২ ধারায় এ মামলার সব অভিযোগ প্রমাণ করা হয়েছে। রায়ের সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীন বলেন, পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেখানে কোনো আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেই। ঘটনার দীর্ঘদিন পরে থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় কোনো জব্দ তালিকাও নেই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ১০ মিনিটের ব্যবধানে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভিতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। মসজিদে স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন। বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন। হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরের ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন ইপিজেড থানার তৎকালীন পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গনি। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ মামলার অভিযোগপত্রের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ২৩ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। মামলায় মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
